• ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম নারী স্নাতক কাদম্বিনী গাঙ্গুলি বরিশালের

দখিনের সময়
প্রকাশিত মার্চ ৮, ২০২১, ২০:২৩ অপরাহ্ণ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম নারী স্নাতক কাদম্বিনী গাঙ্গুলি বরিশালের
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেক্স:

উনিশ শতকে বাঙলার সমাজে নারীর জীবন যখন ছিল খুবই পশ্চাদপদ এবং বহু প্রতিকূলতায় জর্জরিত, তখন সবরকম  বাধার বিরুদ্ধে লড়াই করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন এক বাঙালি নারী, যার নাম কাদম্বিনী গাঙ্গুলি। কাদম্বিনী গাঙ্গুলি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতেই শুধু নয়, উনবিংশ শতাব্দীতে তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম দুজন নারী স্নাতকের একজন। কাদম্বিনী বসুর জন্ম ১৮৬১ সালে। খবর সূত্র: বিবিসি।

বরিশালের চাঁদসি গ্রামে ছিল তাদের পৈতৃক বাসস্থান। বাবা ব্রজকিশোর বসু চাকুরি সূত্রে থাকতেন বিহারের ভাগলপুরে, যেখানে তিনি ভাগলপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।  ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক পরিবেশের কারণে কাদম্বিনীর পড়াশোনায় ছিল প্রবল আগ্রহ। বাবা তাকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ১৪ বছর বয়সে ভর্তি করে দেন বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় নামে একটি বোর্ডিং স্কুলে।

ব্রিটিশ শাসিত দেশগুলো থেকে প্রথম যে দুজন নারী গ্র্যাজুয়েট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন তারা হলেন কাদম্বিনী গাঙ্গুলি (তখন বসু) এবং চন্দ্রমুখী বসু। কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে ১৮৮৩ সালে তারা দুজনে স্নাতক হন।

কাদম্বিনী স্নাতক পাশ করার পর ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনিই ছিলেন ইউরোপীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পেশাজীবী নারী চিকিৎসক। কাদম্বিনীর এই ইতিহাস গড়ার পেছনে রয়েছে কঠিন সংগ্রামের ইতিহাস। কিশোরী বয়স থেকে প্রতিপদে রক্ষণশীল সমাজ তাকে এগোনর পথে বাধা দিয়েছে, হেয় করেছে, এমনকি ডাক্তার হবার পরে তিনি যখন রাতে রোগী দেখতে যেতেন তখন এক পত্রিকায় তাকে “বেশ্যা” বলেও কুৎসা ছড়ানো হয়েছে। অনেক রোগী চিকিৎসা নেবার পরও তাকে চিকিৎসকের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেছে।