দখিনের সময় ডেক্স:
অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা একটি প্রতারক চক্রের হয়ে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন। প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক, পরে হেনস্থার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হতো। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় উলঙ্গ করে ব্ল্যাকমেইল করতো প্রতারক চক্রটি। প্রবাসী অনেকেই প্রেমের ফাঁদে পড়ে টাকা হারিয়েছেন। আপত্তিজনক অবস্থায় ফেলে নিত্য নতুন প্রতারণার মাধ্যমে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতারণা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা (৪০), তার মা ও ছেলের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সৌদী প্রবাসী কামরুল হাসান জুয়েল জানান, তার খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে রোমানার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার এক পর্যায়ে সে ফেসবুকে অ্যাড করে। এ সময় সে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। সে বলে মা’কে নিয়ে সে অসহায় অবস্থায় আছে। একটা ছেলে আছে, লেখাপড়া করাতে পারিনা। মিডিয়াতে কাজ হয় না। এক কাজ করো আমাকে তুমি একটা উবার কিনে দাও, যেটা দিয়ে আমি চলতে পারবো। জুয়েল ১৮ লাখ টাকা দিয়ে উবার কিনে দেই। জুয়েলের দাবী, তার কাছ থেকে সর্বমোট দুই কোটি টাকার মতো নিয়েছেনায়িকা রোমানা স্বর্ণা ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগী জুয়েল বিদেশ থেকে আসার পর মডেল, অভিনেত্রী রোমানার বাড়িতে যান। সেসময় এই প্রতারকচক্র তাকে আরো প্রতারণা করার জন্য উলঙ্গ করে ছবি তুললো। এরপর তাকে বললো তুমি যদি আরো টাকা না দাও তাহলে এই ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। সেই ভয়ে ভুক্তভোগী আরো কিছু টাকা দিযৈছেন। এসব অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশরাফি ইসলাম শেইলী (৬০), নাহিদ হাসান রেমি (৩৬), আন্নাফি (২০), ফারহা আহম্মেদ (৩০) ও অজ্ঞাত এক যুবক (৩৭)।