দখিনের সময় ডেস্ক:
অনেকে মনে করেন যে বেশি কথা বলে, সে-ই শুধু বহির্মুখী। এ রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বেশি কথা বললেই যে সে বহির্মুখী, এমনটা ভাবা ভুল। নিজের ভেতরের প্রকৃত অবস্থা লুকানোর জন্যও অনেকে বেশি কথা বলেন। যাঁর আচরণে তাঁর ভেতরের প্রকৃত অবস্থা, সত্যি সহজেই ফুটে ওঠে, যিনি নিজেকে প্রকাশ করতে, মেলে ধরতে আগ্রহী; তিনি বহির্মুখী। আবার অনেকে আছেন একই সঙ্গে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী। এক্সট্রোভার্টেড ইন্ট্রোভার্ট বা মিশুক হয়েও অন্তর্মুখীদের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা জানান দিয়েছে ইনস্টাগ্রামভিত্তিক মার্কিন মিডিয়া বিজনেস গ্রোথ মেন্টর। সেগুলো কী, জেনে নেওয়া যাক।
১. নিশ্চিতভাবেই কিছু মানুষ আপনাকে ভুল বুঝবে, তবে কিছু মানুষ আপনাকে ঠিকই বন্ধুর মতোই বুঝতে পারবে।
২. একইভাবে উল্টোটাও সত্যি। আপনিও কিছু মানুষকে ভুল বুঝবেন। আপনার মনে হবে তাঁরা আপনার প্রতি বিদ্বিষ্ট। অথচ বাস্তবতা হয়তো মোটেও সে রকম নয়। আবার কিছু মানুষের সঙ্গে আপনি ঠিকঠাক যোগাযোগ করতে পারবেন।
৩. মিশুক অথচ অন্তর্মুখী হওয়ার একটা ভালো দিক হলো, আপনার একা থাকতে ভালো লাগে। একইভাবে ভালো সঙ্গও আপনার ভালো লাগে।
৪. আপনার কাজ করার মেজাজ বা উদ্যম আপনার আশপাশের পরিবেশের ওপর নির্ভর করে।
৫. একই সঙ্গে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী স্বভাবের মানুষেরা পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে বেশ ভালোই সামাল দেন। তবে অনেক সময় অনেকের মধ্যে থাকার অস্বস্তি ঢাকতে গিয়ে অনেক সময় বোকামি বা ছেলেমানুষী আচরণ প্রকাশ পেয়ে যায়।
৬. অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী—দুই স্বভাবই যাঁদের আছে, তাঁরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া অপছন্দ করেন, এমন নয়। তবে সেখানে সবার মনোযোগ আকর্ষণের কোনো চেষ্টা থাকে না। তাঁরাও সামাজিকতার মধ্যে নিজেকে ফেলতে চান। তবে সব সময় সামাজিক জমায়েত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ায় একটা বিকল্প কার্যকর পরিকল্পনা থাকে। অনেক সময় অনেকের মধ্যে থাকার অস্বস্তি ঢাকতে গিয়ে অনেক সময় বোকামি বা ছেলেমানুষী আচরণ প্রকাশ পেয়ে যায়
৭. অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী ব্যক্তিদের তুলনায় তাঁরা ভালো শ্রোতা, সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।