দখিনের সময় ডেস্ক:
অফিসে ঢুকে সাড়ে চার লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণ লুটপাট এবং মারধর করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। এ অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এস মুর্শেদসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার(২৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৩০ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক নাজির, তারেক আজিজ, মো. আতোয়ার হোসেন ও কৃষ্ণ চন্দ্র মিত্র।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর লালবাগ থানার পেনাল কোড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় বিল্লাল হোসেনকে সুকৌশলে মিথ্যা আসামি বানিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিল্লালের লালবাগ ইয়াছিন সমবায় সমিতি লিমিটেডের অফিসে ঢুকে তাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন আসামিরা। তারা পরস্পর যোগসাজশে বিল্লালের অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে রাখা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, সিসি ক্যামেরার ডিবিআর ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ড্রয়ারের তালা ভেঙে লুটপাট করে নিয়ে যান।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসময় বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে মারধর করেন এবং অশ্লীল গালাগাল করে তাকে অপমান করেন। গ্রেপ্তারের সাতদিন পর বিল্লাল আদালত থেকে দুই মামলায় জামিন পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গত ২২ অক্টোবর তিনি লালবাগ থানায় গিয়ে তার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিরা তাকে পুনরায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। এরপর আসামিরা বিল্লালকে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। তারা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তুই যা পারিস করিস’।
