দখিনের সময় ডেস্ক
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। জো বাইডেন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বয়ে আনতে পারে এই ভোট। তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে দেশটিতে। প্রথমবারের মতো মুসলিম সিনেটর পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রে এ যাবৎকালে মোট ৫ জন আরব সিনেটরের দায়িত্ব পালন করলেও এ পর্যন্ত কোনো মুসলিম সিনেটর নির্বাচিত হতে পারেননি। যে পাঁচজন আরব সিনেটর হয়েছেন, তাদের সবাই লেবানন বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এদের মধ্যে একজন আবার লেবানন ও ফিলিস্তিনের দ্বৈত নাগরিক।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে যিনি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন, তিনি হলেন— মার্কিন টেলিভিশনের জনপ্রিয় স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তুরস্ক বংশোদ্ভূত পেনসিলভানিয়ার সিনেটর প্রার্থী ডা. মেহমেদ (মোহাম্মদ) ওজ। মার্কিন টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ওপেরা ইউনফ্রেতে ২০০৪ প্রথমবার এসেছিলেন এ মুসলিম চিকিৎসক। এর পর ২০০৯ সালে তার নামে একটি অনুষ্ঠান চালু হয় টেলিভিশনে।
‘দ্য ডা. ওজ শো’ নামে এ জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে চিকিৎসা বিষয়ক নানা পরামর্শ দেওয়া হয়। পেনসিলভানিয়ার বর্তমান সিনেট ডেমোক্রেট নেতা জন ফেটারম্যানের বিরুদ্ধে লড়ছেন ডা. ওজ। তার পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ আসনে মুসলিম প্রার্থী ডা. ওজ জয়ী হবেন বলে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জরিপের ফলে দেখা গেছে। আর তা যাদি সত্যি হয়, তবে ডা. ওজই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সিনেটর। পেনসিলভানিয়া রাজ্যে মিসর, মরক্কো ও ইরাকসহ বিভিন্ন আরব দেশ থেকে আসা ৮৪ হাজার ৪৭২ জন অভিবাসী আছেন। এদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৮১৭ জনই মুসলিম।
এ কারণেই এ আসনে সিনেটর নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক হচ্ছেন মুসলিম ভোটাররা। ২০১৬ সালে যে ৬ রাজ্যে বড় ব্যবধানে ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন, পেনসিলভানিয়া ছিল এগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন ও নেব্রাসকা রাজ্যে ট্রাম্পকে পরাজিত করেন বাইডেন।