দখিনের সময় রিপোর্ট:
বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন দৃশ্যমান হচ্ছে। মাটির নীচের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২১টি পিলারের ব্যইজ ডালাই সমাপ্ত হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পিলারগুলো দৃশ্যমান হবে। এর পর ভবনের কাজ আগাবে দ্রুত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ পথ চলার পর বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় পেয়েছে নিজস্ব স্থায়ী ঠিকানা। বরিশাল শহরের ঝাউতলা রোডে নিজস্ব ভবনের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে ৩০ জুলাই। এ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। ২০১৫ সালে এই জমি বরাদ্দ দিয়েছেন বরিশালের তৎকালীন জেলা প্রশাসক শহীদুল আলম।
প্রতিবন্ধী শিশুদের ব্যাপারে আজকের যে সচেতনতা দেশে ও বিদেশে, তার রেশ মাত্রও ছিলো না দশ বছর আগেও। অথচ ৩৫ বছর আগে এই শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসে বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। ১৯৮৭ সালে ৮/১০টি শিশু নিয়ে শুরু করা সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এখন ১২৭।
১৯৮৭ সাল থেকে বরিশাল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যায়ের যে পথ চলা শুরু হয় তা মোটেই সহজ সাধ্য ছিলো না। বরং ছিলো কঠিন। আর শুরুর দিকটা ছিলো কল্পনাতীত রকমের কঠিন। তবু এগিয়েছে মহতী এই উদ্যোগ। যা ছিলো অনেকটা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো বিষয়।
এই অসম্ভবকে সম্ভব করার ঘটনা প্রবাহ নিয়ে কথা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আলম মন্টুর সঙ্গে। তিনি এই স্কুলের উদ্যোক্ত ও প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে স্কুলের সেক্রেটারী। তিনি জানালেন, জহিরুল ইসলাম খান পান্নার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পিডব্লিউডি-এর তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ার আকতার হোসেন মঞ্জু এক আলাপচারিতায় বরিশালে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার আকতার হোসেন মঞ্জুর একমাত্র সন্তান ছিলো প্রতিবন্ধী।