দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে গোপনে পুলিশি জাল বিস্তার করেছে চীন! বেশ কিছু দেশে চীনের পুলিশ স্টেশনও রয়েছে। শুধু তাই নয়, খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই রয়েছে চীনের এমন পুলিশি তৎপরতা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা, এফবিআই। জানিয়েছে বিবিসি।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেট হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গভর্নমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির শুনানিতে এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেছেন, ‘আমি এ বিষয়ে খুব উদ্বিগ্ন। আমরা এই (পুলিশ) স্টেশনগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, স্পেন ভিত্তিক এনজিও ‘সেফগার্ড ডিফেন্ডার’ সেপ্টেম্বর মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বিশ্বে অন্তত ২১টি দেশে চীনের গোপন পুলিশ স্টেশন রয়েছে- সেই ২১ দেশের তালিকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নামও রয়েছে। এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের বিষয়টি অবহিতও করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি বলেছেন, এ ধরনের পুলিশ স্টেশনের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
বিবিসির খবরে আরো বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে কথা বলেন এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে। সেখানে তিনি বলেন, চীন সরকার মার্কিন শহরগুলোতে অননুমোদিত ‘পুলিশ স্টেশন’ স্থাপন করায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সম্ভবত প্রভাব বিস্তারের জন্য মার্কিন শহরগুলোতে এসব ‘পুলিশ স্টেশন’ স্থাপন করা হয়েছে।
‘সেফগার্ড ডিফেন্ডারস’ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরে কয়েক ডজনর পুলিশ ‘সার্ভিস স্টেশন’ রয়েছে। এর পরই সরব হয় মার্কিন কংগ্রেসের বিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। বিরোধী এই আইনপ্রণেতারা চীনা এসব পুলিশ স্টেশনের প্রভাব সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কাছ থেকে উত্তর দাবি করে।
মূলত চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকারের বিরোধী যেসব মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে, তাদের নজরদারির আওতায় রাখতে দেশে দেশে গোপন পুলিশ স্টেশন স্থাপন করছে বেইজিং। নিউইয়র্ক ছাড়াও বিশ্বের ৫টি মহাদেশের অন্তত ২১টি দেশের ২৫ শহরে ৫৪টি পুলিশ স্টেশন রয়েছে চীনের। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের মতো শিল্পোন্নত ও ধনী দেশের পাশাপাশি রয়েছে নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়ার মতো সংঘাতপূর্ণ দরিদ্র বিভিন্ন দেশগুলোর নামও। তবে গোপন এসব স্টেশনের তথ্য চীনের সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়া খুব কম মানুষই জানে।