দখিনের সময় ডেস্ক:
বাম নেতা দিলীপ বড়ুয়া মন্ত্রী হয়েছিলেন। একবারই। তবে কখনো সংসদ সদস্য হতে পারেননি। যতবারই ভোটে দাড়িয়েছেন ততবারই জামানত হারিয়েছেন। প্রতিবারই ভোট পায়েছেন ৪শ’র কম। এই দিলীপ বড়ুয়া সম্প্রতি আবার আলোচনায় এসেছেন বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে। এর আগেও তিনি আলোচনায় এসেছিলেন মন্ত্রী থাকা কালে। সে সময় একাধিক প্লট হাসিল করার কারণে।
দিলীপ বড়ুয়া শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর প্রথম সরকারি প্লট পান রাজউকের উত্তরা প্রকল্পে। সেখানে তার নিজের নামে পাঁচ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় রাজউকের টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্টের ১৩ এ (সি) ধারার আওতায়। এরপর রাজউক পূর্বাচলে জমি বরাদ্দের ঘোষণা দিলে সেখানেও তার স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবারের অপর সদস্যের নামে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজউকের ১২তম বোর্ডসভার সিদ্ধান্তের আলোকে এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১৩ এ (সি) ধারার সুপারিশ অনুযায়ী সংরক্ষিত কোটায় মোট ২২ জনকে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ২২ জনের মধ্যে তিনজনই হচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে তার স্ত্রী অধ্যাপিকা তৃপ্তি রানীর নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ দেওয়া হয় পাঁচ কাঠা জমি। মন্ত্রীর মেয়ে ডা. উপমা বড়ুয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন কাঠা এবং দিলীপ বড়ুয়ার ভাই প্রয়াত ডা. শুভঙ্কর বড়ুয়ার ছেলে ডা. অলক বড়ুয়ার নামে দেওয়া হয়েছে তিন কাঠা। মন্ত্রীপরিবারের এ সদস্যরা মিলে মোট ১১ কাঠা জমি পেয়েছেন পূর্বাচলে। এ জমির বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা।
এ ছাড়া মন্ত্রীর এপিএস পুলক বড়ুয়ার নামেও তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দে দেওয়া হয়েছে পূর্বাচলে। প্রসঙ্গত, এই এপিএস মন্ত্রীর দূরসম্পর্কের আত্দীয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সব নিয়মনীতি ভঙ্গ করে দিলীপ বড়ুয়া তার নিজের নামে আরও একটি প্লট নিয়েছেন কেরানীগঞ্জে রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে। এখানে তার নামে বরাদ্দ দেওয়া প্লটে জমির পরিমাণ তিন কাঠা। বর্তমান বাজারমূল্যে এর দাম আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। এর বাইরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ কাঠার একটি প্লটের জন্য আবেদন করেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা একের অধিক সরকারি প্লট নিতে পারেন না। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, দিলীপ বড়ুয়ার ক্ষেত্রে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে।