দখিনের সময় ডেস্ক
রাজধানীর উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। এ দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাংকটির তিন কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় ভূমি অফিস ও ঢাকা জেলার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জড়িত।জালিয়াতির নিপুণ ছক কষে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মেসার্স গ্রিন ভ্যালি অটোমোবাইলসের মালিক গোলাম ফারুক। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উত্তরার আজমপুর অংশে মহাসড়ক বেচাকেনার মূলহোতা গোলাম ফারুক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী খন্দকার মেহমুদ আলম ওরফে নাদিম ছাড়াও এসআইবিএলের প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) ও শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইকবাল (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) মো. আবদুল হামিদ ও প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) মো. ইমানী চৌধুরীকে (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) আসামি করা হয়। ঘটনার সময় এই তিন কর্মকর্তা দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এসআইবিএলের প্রিন্সিপাল শাখায় কর্মরত ছিলেন।
আসামিদের মধ্যে গোলাম ফারুক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজ আল মামুন ওরফে ফিরোজ একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সম্প্রতি জামিনে এসেই গত ১৭ নভেম্বর বিকালে সদলবলে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত জামির আলী মার্কেট দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে হামলা চালান গোলাম ফারুক। এ ঘটনার পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন মার্কেট মালিকের মেয়ে রাবেয়া সনি। এই মামলায় ফের গ্রেপ্তার হন গোলাম ফারুক। কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে মহাসড়ক বন্ধক দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ভয়ানক এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অন্যরা।