দখিনের সময় ডেস্ক:
সমকামী বিরোধী রাশিয়ার আইনের প্রতিবাদও জানানো হচ্ছে। হলিউড থেকে শুরু করে ব্রডওয়ে অবধি মার্কিন বিনোদন শিল্পিরা রাশিয়ার এই বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন৷ এ জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টিতে তারা তাদের তারকা খ্যাতি আর অর্থ – দুটোই ব্যয় করছে৷
চলচ্চিত্র অভিনেতা হার্ভে ফিয়ারস্টাইন, ব্রিটিশ লেখক-অভিনেতা স্টিফেন ফ্রাই এবং ‘স্টার ট্রেক’ খ্যাত অভিনেতা জর্জ টাকেই জনসমক্ষে রাশিয়ার নতুন আইনের সমালোচনা করেছেন৷ এদিকে, পশ্চিমা বিশ্বে সমকামী সম্পর্ক সমর্থনকারী অন্যতম ব্রিটিশ সেলিব্রেটি সংগীত শিল্পী এলটন জন সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সমকামী অধিকারের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ৷ উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে জনসমক্ষে নিজেকে সমকামী হিসেবে ঘোষণা করেন এলটন জন৷
ভারতের মঞ্চ-পর্দার অভিনেতা কৌশিক সেনও বলেন, ‘আমি একটুও বিস্মিত হইনি। ছোট বেলায় যে রাশিয়াকে দেখে বড় হয়েছি তার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। রাশিয়াকে নিয়ে আমাদের মনে যে রোম্যান্টিসিজম ছিল সেটাও অস্তমিত। বহু দিন ধরেই দেশটা একনায়কতন্ত্রের হাতে চলে গিয়েছে। যে ভাবে গোটা বিশ্বকে বিপন্ন করে তুলেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ সেটাও যথেষ্ট লজ্জাজনক। রাশিয়ার থেকে অন্য রকম কিছু আশা করাটাই ভুল। কৌশিকের দাবি, নতুন ধারার ফ্যাসিবাদ জন্ম নিয়েছে। এর বাইরে সম্ভবত পুতিনো বেরোতে পারবেন না।
রূপান্তরকামী আইনজীবী মেঘ সায়ন্তন ঘোষ হতাশ। তিনি বলেন, এর থেকে খারাপ খবর আমাদের কাছে আর কী হতে পারে? এক দিকে, আমরা বিশ্বজুড়ে আন্দোলন করছি। অন্য দিকে, এই পদক্ষেপ! সায়ন্তনের মতে, ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় দণ্ডবিধি আইন তৈরি হয়েছিল। সেই সময় সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হত। ২০১৮-য় প্রথম শীর্ষ আদালতের রায়, সমকামিতা অপরাধ নয়। রাশিয়া যেন মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের এক সঙ্গে গর্জে ওঠা উচিত।
শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ভালবাসাকেও যে আইন দিয়ে নির্দিষ্ট করা যায়, মানতে পারেননি তিনি। তাই খবরটা শোনার পরে বিশ্বাসও করতে পারছিলেন না কিছুতেই। তিনি বলেন, আগামীতে নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্ব প্রতিবাদ এবং প্রতিক্রিয়া জানাবে।