দখিনের সময় ডেস্ক
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিক থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে নিজেদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
আজ আগে থেকেই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর বিপরীতে নয়াপল্টন কার্যালয়ে প্রবেশের দুপাশে ফকিরাপুল ও নাইটেঙ্গেল মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সাজোয়া যান ও জলকামান রাখা হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। এরপর পৌনে ৩টার দিক থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ।
এ বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। যত হামলা করা হোক আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের এই গুলি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। তাদের গুলিতে তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের আলদীন, জুয়েল, আরিফ, নিয়াজ, মুর্শেদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের শরীর থেকে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তারা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ, তাদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়েছে।’
আগামী ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে গত কয়েকদিন ধরেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন দাবিতে দলের সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এ গণসমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে চাচ্ছে না বিএরপি। পরে বিএনপি দুটি বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব দেয়। এর বিপরীতে পুলিশ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও পূর্বাচলে সমাবেশ করার কথা বলেছে। এ দুই জায়গাতেও বিএনপি সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে।