সন্তানদের দ্বন্দ্বে লাশ পড়ে থাকে অ্যাম্বুলেন্সে, ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ  সরিয়েছে এক মেয়ে

দখিনের সময় ডেস্ক:

মৃত্যুর পর কেটে গেছে এক দিন । বাড়ির সামনেই অ্যাম্বুলেন্সে পড়ে আছে বাবার লাশ। দাফন দূরে থাক, লাশ নামানো হয়নি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার জন্যও। কারণ,  অবসরকালীন ভাতার টাকা নিয়ে সন্তানেরা লিপ্ত হয়েছেন কলহে।

নিহতের তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছেন। বাবার অবসরকালীন ভাতার টাকা নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বলে জানা গেছে।  এদিকে বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কৌশলে ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে সরিয়ে নিয়েছে এক মেয়ে। তবে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বেবী আক্তার। তিনি বলেন, আমার বাবা কোনো টাকা আমাকে দেননি। আমি কোনো টাকাও ব্যাংক থেকে তুলিনি। ভাইদের এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ব্যক্তি মনির আহমদ (৬৫) একটি তেল কোম্পানিতে চাকরি করতেন।  শনিবার(২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার সময় তাঁর মৃত্যু হয়।  রোববার(২৫ ডিসেম্বর) বিকেল গড়িয়ে গেলেও তাঁর দাফন হয়নি। আজ সোমবার(২৬ ডিসেম্বর) ব্যাংক না খোলা পর্যন্ত দাফন হবে না বলে জানা গেছে। রোববার বিকেল চারটার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মনির আহমদের লাশ বাড়ির সামনে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা আছে। বাড়িতে শোকের বালাই নেই। সেখানে ভাই-বোন ও ভাগনেরা ঝগড়াঝাঁটিতে ব্যস্ত। ভাইদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৌশলে ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে সরিয়ে নেন তাঁদের এক বোন।

মৃত মনির আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কিছুদিন আগে আমার বোন বেবী আক্তার আমার বাবাকে হাসপাতালে থেরাপি দেওয়ার নাম করে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা উঠিয়ে নেন। আমরা বাবা মারা যাওয়ার পরই টাকা তুলে ফেলার খবর পাই।  তিনি আরও বলেন, আমার ছোট ভাই সৌদি আরব থেকে আসবেন। পাশাপাশি সোমবার ব্যাংক খুললে ব্যাংকে গিয়ে হিসাব পেলে বাবার দাফন করা হবে।