দখিনের সময় ডেস্ক:
সুন্দরীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে সেনা সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রীর ক্ষেত্রে সুন্দরী মহিলাকে ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করার ঘটনা নেহাত কম নেই। এ বার পাকিস্তানের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, দেশের বেশ কয়েক জন অভিনেত্রীকে তথ্য হাতানোর জন্য টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তার এই দাবির পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর আদিল রাজা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই দাবি করেন। তার দাবি সাবেক সেনা প্রধান কামর জাভেদ বাজওয়ার আমলে অভিনেত্রীদের ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্গে ছিলেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফৈজ হামিদ। মূলত রাজনীতিকদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের জন্যই অভিনেত্রীদের ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি করেন রাজা। তবে অভিনেত্রীদের নাম প্রকাশ করেননি রাজা। নামের আদ্যক্ষর হিসেবে এমএইচ, এমকে, কেকে, এসএ ব্যবহার করেছেন তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের ধারনা, তিনি আসলে মেহয়িশ হায়াত, মাহিরা খান, কুবরা খান, সজল আলির কথা বলতে চেয়েছেন।
রাজার ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তার মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছেন সজল আলি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, এটা খুবই দুঃখের যে, আমাদের দেশ নৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুৎসা চলছে। চরিত্রহনন করা হচ্ছে। যা মানবতার সবচেয়ে খারাপ দিক। চুপ থাকেননি কুবরা খানও। জবাব দিয়েছেন দীর্ঘ পোস্টে। তিনি লিখেছেন, প্রথমে চুপ করেছিলাম, কারণ ওটা একটা ভুয়া ভিডিও। কিন্তু যথেষ্ট হয়েছে। আমার দিকে কেউ আঙুল তুলবেন, আর আমি চুপ করে বসে থাকব! আদিল রাজা, কোনো অভিযোগ করার আগে প্রথমে প্রমাণ দিন। প্রমাণ দিতে না পারলে মানহানির মামলার হুমকি দিয়েছে কুবরা।
মেহয়িশ হায়াত পুরো অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে লম্বা পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘সস্তার খ্যাতি পাওয়ার জন্য কেউ মানবিকতা থেকে দূরে সরে অনেক নিচে নেমে যান। আশা করি, নিজের দু’মিনিটের খ্যাতি উপভোগ করছেন। এখানেই থামেননি মেহয়িশ। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অভিনেত্রী মানেই আমার নামে কাদা ছেটানো যায় না। এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানোর জন্য আপনাকে ধিক্কার। আরও বড় ধিক্কার, সেই সব মানুষকে, যারা এ সব বাজে কথায় বিশ্বাস করেন। এ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি মাহিরা খান। শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘রইস’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন মাহিরা। রণবীর কাপুরের সঙ্গে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গেছে তাকে। তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
এর আগে পাকিস্তান গুপ্তচর বাহিনী আইএসআই সুন্দরী মহিলাদের টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে ভারতীয় সেনার কাছ থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করেছে বার বার। ২০১৯ সালে রাজ্যসভায় এই অভিযোগ করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৫০টি ভুয়া একাউন্ট ব্যবহার করে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান।