দখিনের সময় ডেস্ক:
আজকাল কমবেশি সবাই ব্যবহার করেন অ্যানড্রয়েড ফোন। তবে অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারে এবার থেকে একটু সতর্ক হন। কারণ কেন অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের প্রি-ইনস্টল অ্যাপগুলো দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে তা নিয়ে নতুন একটি গবেষণায় উদ্বিগ্নতা বড়েছে।
স্পেনের একটি একাডেমিক গ্রুপের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন অ্যানড্রয়েড মোবাইল ডিভাইসগুলোতে প্রি-ইনস্টল করা প্রোগ্রামগুলোয় কোনো ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। এগুলো বিস্তৃত এবং অনেকের নজরদারিতে থাকে।
দুই হাজার ৭৪৮ জন ব্যবহারকারীর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে প্রি-ইনস্টল করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো তদন্ত করেছে পাবলিক ইউনিভার্সিটি কার্লোস-৩ ডি মাদ্রিদ, আইএমডিএএ নেটওয়ার্কস ইনস্টিটিউট এবং স্টোন ব্রুক ইউনিভার্সিটি। তাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ১৩০টি দেশে ২১৪ জন বিক্রেতারা এসব অ্যানড্রয়েড ফোনে এক হাজার ৭৪২টি অন্য ডিভাইস প্রবেশ করেছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাধারণ তথ্য সুরক্ষা রেগুলেশন আইনে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে প্রি-ইনস্টল অ্যাপগুলোতে আরও বেশি নজরদারি বাড়াতে হবে কিনা তা গবেষণায় দেখানো হয়নি।
যদিও অ্যালফাবেট ইন্স গুগলের নিজেদের অ্যানড্রয়েড, এটার ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে প্রকৃতিগতভাবে ওপেন সোর্সের মাধ্যমে কাস্টমাইজ করতে সক্ষম থাকে। ব্যবহারকারীদের প্রদান করার আগে অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ যুক্ত করে দেয় তারা। গবেষণায় পাওয়া গেছে এই সেটআপগুলো ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি স্বরূপ। কারণ প্রি-ইনস্টল অ্যাপগুলো ডাটা অ্যাকসেজের অনুরোধ করে। এটি অন্য সাদৃশ্যপূর্ণ অ্যাপগুলোত ছড়িয়ে থাকে যা গুগল প্লে স্টোরের পৌঁছতে পারে না।
গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন, এসব প্রি-ইনস্টল অ্যাপগুলো আনইনস্টল করা যায় না। অ্যাপ স্টোর ভার্সনের জন্য গুগল তাদের কঠোর নিরাপত্তার পরীক্ষায় কাজ করছে না। গবষণার একজন সহ-লেখক জুয়ান টেপিয়াডোরের বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এখানে এসব স্টেকহোল্ডার এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো পর্যবেক্ষণ করার কেউ নেই।’
এ বিষয়ে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘প্রি-ইনস্টল থাকা অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তা সম্পর্কিত পরিষ্কার নীতিগুলো আমাদের সঙ্গীদের প্রদান করি।’ সম্প্রতি এই প্রি-ইনস্টল অ্যাপগুলো সুবিবেচনা বৃদ্ধি পেয়েছে।