দখিনের সময় ডেস্ক:
গৌতম আদানির বিত্তবলয়ের ‘অন্ধকার অধ্যায়’ প্রকাশ্যে আসার মাত্র আট দিনের ব্যবধানে বিশে^র শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার নিম্নমুখী স্থানচ্যুতি ঘটেই চলেছে। উত্থানেই কি নিহিত থাকে পতনের পরিণতি? গৌতম আদানির উদয় ও বিকাশপর্বের পর হড় হড় করে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তার উত্থান এবং এখন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর তরতর করে তলানির দিকে তার পতন যেন সে কথাই প্রতীয়মান করছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুইডিশ গবেষক ড. অশোক সোয়াইন টুইটারে লিখেছেন, ‘উল্কার মতো খসে পড়ছে আদানি সাম্রাজ্য। মোদির পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা নেতানিয়াহুর সঙ্গে ছবি- কিছুতেই ঠেকানো যাবে না এ পতন। সব মানুষকে সবসময় বোকা বানানো যায় না।’ ফোর্বসের তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, আদানি এশিয়ায় শীর্ষ ধনীর তালিকায় তিনে নেমে গেছেন। ভারতীয় আরেক ধনকুবের মুকেশ আমবানি এখন ভারতে ও এশিয়ায় প্রথম
ফোর্বসের পরিসংখ্যান মতে, আট দিনে আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আদানি খুইয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার। গত রাত নয়টায় আদানির সম্পদমূল্য ছিল ছয় হাজার ৪২০ কোটি ডলার, অথচ ২৫ জানুয়ারি তার সম্পদ ছিল ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর অস্বাভাবিক বাণিজ্যিক উত্থানের নেপথ্যে আছে জালিয়াতি ও শেয়ারবাজারে কারচুপির অন্ধকার অধ্যায়। সিএনএন গতকাল এক প্রতিবেদনে লিখেছে, হিনডেনবার্গ তুলনামূলক ছোট পরিসরের প্রতিষ্ঠান হলেও আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তাদের এ প্রতিবেদন একই সঙ্গে আদানির সাম্রাজ্য, সে সূত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বিনিয়োগকারীদের বিপাকে এবং দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্টজন। তার শিল্পগোষ্ঠীর ভিত গুজরাট। ভারতে এরই মধ্যে মোদি সরকার তোপের মুখে পড়েছে। বিরোধীদলীয় নেতারা আদানির অনিয়মের তদন্ত দাবি করেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার চুপ। চুপ বলা ঠিক নয়, বিব্রত বিজেপি কৌশল ঠিক করতেই দিশেহারা।