Home জাতীয় বুয়েটশিক্ষক নিখিলকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি

বুয়েটশিক্ষক নিখিলকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি

দখিনের সময় ডেস্ক:
ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের মামলায় বুয়েটশিক্ষক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ পরোয়ানা জারি করেন। এদিন এ মামলায় নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের দেওয়া সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর নিখিল রঞ্জন ধর পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৯ মার্চ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর একই তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন, আদালতে দেওয়া আসামি দেলোয়ারের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দিগ্ধ আসামি ড. নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলার দায় প্রমাণ করা সম্ভব হয় নাই।
চার্জশিটে নিখিল রঞ্জন ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রশ্নফাঁসের হোতা আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।
জানা গেছে, সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে নাম এসেছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান নিখিল রঞ্জন ধরের। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূলহোতা দেলোয়ারসহ গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশ ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এই বুয়েটশিক্ষকের নাম বলেছিলেন। তবে রহস্যজনকভাবে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চার্জশিটে নিখিল রঞ্জনের নাম বাদ দিয়েছিল। সিআইডির করা মানিলন্ডারিং মামলাতেও তার নাম সংযুক্ত করা হয়নি।
ব্যাংকের নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিখিল রঞ্জন ধর, তার স্ত্রী অনুরূপা ধর ওরফে সোমা ধর, মেয়ে দেবী ধর ও ছেলে ভাস্কর ধরের নামে দেশের ১২টি ব্যাংকে ৬৬টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪টি হিসাব সচল আছে। বাকি অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন সময় টাকা উত্তোলনের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরিপ্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

মোর্স কোড কী?

দখিনের সময় ডেস্ক: মোর্স কোড হল একটি সাংকেতিক ভাষা যা পয়েন্ট (.) এবং ড্যাশ (-) দ্বারা প্রতিটি অক্ষর, সংখ্যা, এবং কিছু বিশেষ চিহ্ন উপস্থাপন করে।...

হলুদ ও মধু একসঙ্গে খাওয়ার ৫ উপকারিতা

দখিনের সময় ডেস্ক: হলুদ এবং মধু। এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানই নিজ নিজ গুণে সমাদৃত। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য রয়েছে এগুলোর অসংখ্য উপকারিতা। উপকারী এই দুই উপাদান...

ভারতে অজ্ঞান পার্টির কবলে দুই বাংলাদেশি পর্যটক, পুলিশ সহযোগিতা না করার অভিযোগ

দখিনের সময় ডেস্ক: ভারতে বেড়াতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি পর্যটক। চলন্ত ট্রেনে দুজন ব্যক্তি তাদেরকে চা খেতে দেয়। চা খাওয়ার পরই তারা জ্ঞান হারিয়ে...

শুরু ভালো হলেও বড় ইনিংসে পরিণত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ

দখিনের সময় ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প মনে করেন, ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু পেলেও সেটি বড় ইনিংসে রূপান্তরিত করতে না পারার খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ।...

Recent Comments