কাজী হাফিজ ও আরাফাত সাকিব:
বরিশালে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টা করেছে মাদকারবারীরা। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়পুর ইউনিয়নের উচা পুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাদকারবারীদের হামলায় আহত সম্রাট হাওলাদার (১৫) রায়পাশা ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
গুরুতর আহত সম্রাট বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে সোমবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ করা হয়। তার মাথায় ১০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এরপরও দেড় দিনের মাথায় আজ বুধবার (১ মার্চ) সকালে হাসপাতাল থেকে সম্রাটের নাম কেটে দেয়া হয়োছিলো। পরে অনেক অনুনয়-বিনয় করলে আজ বিকেলে সম্রাটকে পুন:রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় সম্রাটের বাবা শাহীন হাওলাদার মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ নিয়ে যান। কিন্তু আজ বুধবার (১মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মামলা নেয়া হয়নি বলে জানাগেছে। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিমানবন্দর থানার ওসি(তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, এটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখানো মামলা রেকর্ড হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন। উল্লেখ্য, থানার ওসি হেলাল ছুটিতে রয়েছেন।
সম্রাটের বাবা শাহীন হাওলাদার দখিনের সময়কে বলেন, আমার ছেলে সম্রাট দোকানের কাজে আমাকে সাহায্য করে। ঘটনার দিন সোমবার বিকালে পিয়াস, শুভ, রিংকুরা দলবল নিয়ে আমার দোকানে আসে। তারা আমার ছেলেকে উচা পোল এলাকায় যেতে বলে। আমার ছেলে ওখানে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ছেলেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
সম্রাটের বাবা জানান, এক পর্যায়ে সম্রাটকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে পথচারীরা আমার ছেলেকে উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। তিনি বলেন, আমার ছেলের মাথায় ৩ টি কোপ লেগেছে। তার মাথায় ১০টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। পথচারীরা সাহায্য না করলে আমার ছেলেকে বাঁচানো যেতো না বলে জানান সম্রাটের বাবা শাহীন হাওলাদার।
দৈনিক দখিনের সময় অনলাইন ভার্সনে এ রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর রাত নয়টার দিকে বিমানবন্দর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আসাদ শের-ই-বাংলা কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুল ছাত্র সম্রাটকে দেখতে যান। সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি বিএমপি’র উর্ধতন কর্মকর্তাদের গোচরিভূত হয়েছে।