দখিনের সময় ডেস্ক:
গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি শিল্পকারখানার শ্রমিক ফারজানা আক্তার (২৬)। বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সুরিগাঁও গ্রামে। দুই সন্তানকে নিয়ে দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের জুলেখার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে বর্ষার বয়স সাত বছর এবং ছোট তায়েবার বয়স ১৮ মাস। মা যখন কারখানায় কাজে যান, তখন ছোটবোনের দেখভাল করত শিশু বোনটিই।
বৃহস্পতিবার (২মার্চ) বিকেলে মা ফারজানা আক্তার কারখানা ছুটির পর বাসায় ফেরেন। পরে সন্ধ্যার আগে শিশু তায়েবাকে কোলে নিয়ে স্থানীয় নয়নপুরে বাজার করতে বের হন। এ সময় তিনি অপহরণকারীদের কবলে পড়েন। তার কোল থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় শিশু তায়েবাকে।
ফারজানা আক্তারের বলেন, তিনি বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে এক যুবক শিশুটিকে মামা বলে ডাক দিয়ে কাছে নেন। পরে শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকেন ওই যুবক। এ সময় তিনি হঠাৎ করেই অচেতন হয়ে পড়লে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ফারজানা আক্তার আরও বলেন, ওই ময় কৌশলে তাকে অচেতন হওয়ার ওষুধ প্রয়োগ করেন যুবক। এতে তিনি অচেতন হয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
ফারজানার ভাই মোস্তফা মিয়া বলেন, তার বোনের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। সম্প্রতি তার স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কৃষিকাজ করেন। দুই সন্তানকে নিয়ে তার বোন কারখানায় কাজ করত। মায়ের কোল থেকে শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়ায় এখন তার বোনের কান্নাকাটি থামছেই না। মায়ের দুধ খেয়ে জীবন চালানো শিশুটি মা ছাড়া কেমন আছে—এমন ভাবনায় পুরো পরিবারেই বিষাদ ভর করেছে। শিশুটিকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগও দিয়েছেন।