বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রাঙ্গণে চলছে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করা হয়েছে পাঠক – লেখকদের এ উৎসব। তবে এ আয়োজনের ব্যাপ্তি আরো বড় হবে এমনটাই দাবি উঠেছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়দফা বেদীর সম্মুখে গত রোববার থেকে শুরু হয় এ আয়োজন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বইয়ের স্টলগুলোতে ভীড় করে বইপ্রেমী পাঠকবৃন্দ। ভক্তদের কাছে নিজের বই নিয়ে আলাপচারিতার জন্য উপস্থিত হন অনেক লেখক। তবে সবারই প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেলার পরিধি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বৃষ্টি সাহা বলেন, ‘ ‘নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনীর বাইরে খুব একটা বই পাওয়া যায় না এ মেলায়। যদি আরো প্রকাশনী এখানে যুক্ত হতো তবে আমরা আরো বেশি বইয়ের সংস্পর্শ পেতাম’। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘যতটুকু জানি শুধুমাত্র একটি সংগঠনের উদ্যোগে এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বইমেলা করলে ভালো হয়’।
মেলার আয়োজকদের একজন সামিউল ইসলাম সিফাত জানান, এটি তাদের সপ্তম বারের আয়োজন। মূলত বিখ্যাত সব বইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের রচিত বইগুলোও স্থান পায় এ মেলায়। প্রতি বছর এ ধরণের বই উৎসব করতে পেরে খুশি তারা নিজেরাও।
আর কেন্দ্রীয়ভাবে বইমেলার আয়োজন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.খোরশেদ আলম বলেন, ‘ বর্তমানে যে বইমেলা সামাজিক সংগঠনগুলো করছে সেখানেও আমরা সহযোগিতা করছি। তবে শিক্ষার্থীরা যেহেতু আরো বড় পরিসরে বইমেলা চায় তাই ব্যাপারটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাববে’।
এবারের মেলায় বিভিন্ন লেখকের প্রায় দুই হাজার বইয়ের প্রদর্শনী করা হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সদ্য সমাপ্ত অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত বইগুলো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শফিক মুন্সির গল্পগ্রন্থ ‘গন্তব্য’ নিয়ে পাঠকদের মধ্যে আলাদা আলোচনা রয়েছে।