দখিনের সময় ডেস্ক:
ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি কেন? এর কারণ জানতে কাজী ফার্মস, আফতাব বহুমুখী ফার্মস, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি নামে চার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (২২ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই চার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে ব্রয়লারের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুর দেড়টায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৯ মার্চ পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের সভা কক্ষে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সেই সভায় জানানো হয়, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন ব্যয় কর্পোরেট পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা পড়ে। সে হিসেবে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির মূল্য ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় বলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অবহিত করে।
বুধবার যৌথ তদারকিকালে নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারে খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পাশাপাশি কাপ্তান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রয় করা হচ্ছে। সিলেটে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২২৬ টাকা, কুমিল্লায় ২২৪ টাকা, হবিগঞ্জে ২২১, নরসিংদীতে ২২০ টাকা, টাঙ্গাইলে ২১৮ টাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ২১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তদারকিকালে দেখা যায়।
গত ৯ মার্চ সভায় পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা যৌক্তিক মূল্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাজারে তা পরিলক্ষিত হয়নি; বরং আরও অধিকমূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় বাজারে পোল্ট্রি মুরগির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বৃহস্পতিবার ( ২৩ মার্চ) বেলা দেড়টায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।