দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা) থেকে গত মাসে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। নেতিবাচক সেই খবরের পর অবশেষে খানিকটা স্বস্তিও মিলেছে। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অধীনে ৬০ কোটি টাকার বেশি অর্থ পেতে যাচ্ছে বাফুফে। এসব টাকা তিনটি খাতে ব্যয় হবে। কক্সবাজারে নির্মিত টেকনিক্যাল সেন্টারে ৩.৬২ মিলিয়ন ডলার এবং বাকি তিন মিলিয়ন বাফুফে ভবন সংলগ্ন ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের আর্টিফিশিয়াল টার্ফে ব্যবহৃত হবে। ফিফার কিছু শর্ত রয়েছে এই অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে। ১০ বছরের জন্য বাফুফের নির্দিষ্ট জমির মালিকানা থাকতে হবে। এজন্য তাদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দ্বারস্থ হতে হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘ভবনের পাশে যে টার্ফ রয়েছে, সেটির চুক্তির মেয়াদ আছে নয় বছর। সে কারণে আরও এক বছরের জন্য আবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বলতে হবে।’
বাফুফের এই অর্থ ব্যয় হবে ডেভলপমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধানে। বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আমরা খুব শিগগিরই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাজ শুরু করব।’ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ফিফার কমপ্ল্যায়ন্স পূরণ করতে না পেরে ফিফার শাস্তির খড়গে পড়েছেন। তবে ৬০ কোটি টাকার বেশি অর্থ ফিফার গাইডলাইন অনুসারে ব্যয়ের কথা জানান মানিক। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও ভূটান শতভাগ ব্যবহার করেছে। যা বাংলাদেশ এতদিন পারেনি। এর পেছনে সরকারের কাছ থেকে দেরিতে জমি বুঝে পাওয়াকে দায়ী করেছেন বাফুফে সভাপতি।