দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশ্বব্যাংকের টাকায় পদ্মা সেতু করতে গেলে নানা শর্ত পালন করতে হতো এবং সেতু নির্মাণে ২০ বছর সময় লেগে যেত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর ও গ্রামীণ উন্নয়ন: প্রাক বাজেট বিশ্লেষণ ২০২৩-২৪’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে আমরা এখন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারি। এখন আমাদের একটা পজিশন হয়েছে। আগে তো আমরা কিছুই করতে পারতাম না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কথা বিশ্বব্যাংক আমাদের দিয়ে স্বীকার করাতে চেয়েছিল। এটা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ও প্রমাণ করেছেন বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়াই আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারি।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের টাকা নিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করতে গেলে অনেক শর্ত দিত। পদে পদে শর্ত পরিবর্তন করত। সেক্ষেত্রে পদ্মা সেতু তৈরি করতে ২০ বছর সময় লাগত। বর্তমানে যে মানের হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের টাকায় সে মানের পদ্মা সেতু হতো না।’