দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন পেশাদার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান। দুই যুগের অধিক সময় ধরে তিনি এই পেশার সাথে জড়িত। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাংবাদিক হিসেবে বরিশালে বেশ আলোচিত। বিশেষ করে প্রতিবাদী ক্ষুরধার বস্তুনিষ্ঠ লেখালেখিতে বিগত সময়ে সর্বমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন কিন্তু, অনেকেরেই প্রশ্ন হচ্ছে, শেষতক তিনি বিসিসি নির্বাচনে থাকবেন তো?
এর আগে বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় মাঠও সরগরম করেছিলেন আসাদুজ্জামান। তিনি ছিলেন আলীগ মনোনিত প্রার্থীর একমাত্র প্রতিদ্বন্দী। কিন্তু তখন ক্ষমতাসীনদের চাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন। যদিও অতীত অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিক আসাদ এখনও মুখ খোলেননি। রয়েছেন নিরব। কেনো প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন এমন প্রশ্ন একাধিক বার করা হলেও গনমাধ্যমে কোনো উত্তর না বলেছেন সময় হলে সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে জানাবো। সেই আসাদ এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সিটি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ১৬ মে।
মনোনয়ন পত্র জমাদেবার পর প্রতিক্রিয়ায় পঞ্চাশোর্ধ্ব সাংবাদিক আসাদুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা এবং তাদের জন প্রতিনিধিদের অনাচারে বরিশাল শহরের বাসিন্দাদের বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ এবং সাংবাবদিকতার কলম অবরুদ্ধ। তাই এবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতার জোর ইচ্ছাশক্তি নিয়ে লড়াইয়ের মাঠে নেমেছেন এবং এতে সুশীলমহল, সাংবাদিক, রাজনৈতিক এবং সর্বসাধারণের সহযোগিতা আছে।
স্বনামধন্য সাংবাদিক ও লেখক আসাদুজ্জামান বরিশালের আলোচিত সাংবাদিক সংগঠন ‘নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত এবং মানবিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান। তবে এবার সিটি নির্বাচনে তেমন কিছুর আশঙ্কা আপাতত নেই, জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি ও কয়াডারদের অত্যাচারে নাগরিকরা চরম বিপদ গ্রস্থ। নেতারা নির্বাচন পুর্বাপর আশার বাণীসহ নানা প্রলোভন দিয়ে ফায়দা লুটে শহরবাসীর পকেট কাটে তাই মানুষ রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিদেরকে স্থানীয়সরকার হিসাবে বিশালে চায় না। তারা একজন স্বতন্র সেবক চাইছেন যিনি শহরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেবে এই নগরকে।
মানুশের সেই প্রত্যাশা পূরণের ইচ্ছাশক্তি নিয়েই মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানাধীন আজিমপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মকবুল হোসেন এর পুত্র সাংবাদিক ও লেখক মোঃ আসাদুজ্জামান প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বরিশাল নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আগরপুর রোডের স্থায়ী বাসিন্দা এবং তার বাবা মকবুল হোসেন প্রথম বাঙ্গালী মেরিন ইঞ্জিয়ার। স্বধীনতার আগে থেকে অদ্যবাধি তাদের পরিবার ঢাকার প্রথম সারির ব্যবসায়ী।