দখিনের সময় ডেস্ক:
“খুলনা জেলা পূর্ববঙ্গে এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভূক্ত: সীমানা কমিশনের রায়”। উল্লেখ্য, তখন খুলনা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুর্শিদাবাদ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা ছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্ভবত এখনও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ। উপ-শিরোনামে বলা হয়েছে-” ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সমস্ত জেলা সম্পূর্ণভাবে পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্গত”। তারপর আর একটা উপ-শিরোনামে বলা হয়েছে-“যশোহর, মালদহ, দিনাজপুর, নদীয়া ও জলপাইগুড়ি ভাগাভাগি”। এর নিচে লেখা হয়েছে-“শ্রীহট্ট জেলার চারটি থানা আসামের সঙ্গে যুক্ত: সীমানা কমিশনের সদস্যদের মতানৈক্য সম্পর্কে স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের মন্তব্য”।
বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে:-
“নয়াদিল্লী, ১৭ আগষ্ট- অদ্য বঙ্গীয় সীমানা কমিশনের রায় প্রকাশিত হইয়াছে। সমগ্র চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগ পূর্ববঙ্গে এবং সমগ্র বর্ধমান বিভাগ পশ্চিমবঙ্গের ভাগে পড়িয়াছে। রাজশাহী বিভাগের রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা এবং প্রেসিডেন্সি বিভাগের খুলনা জেলা পূর্ববঙ্গে এবং প্রেসিডেন্সি বিভাগের কলকাতা, ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের দার্জিলিং জেলা পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হইয়াছে। নদীয়া, যশোহর, দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, মালদহ জেলাকে দুই নতুন প্রদেশের মধ্যে ভাগাভাগি করিয়া দেওয়া হইয়াছে।”