বিশেষ প্রতিনিধি:
সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির পুরোপুরি সুবিধা নিতে চায় জামায়াতে ইসলামী। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দলটি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত তাদের শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করেছে। আরও প্রার্থী ঠিক করতে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করছেন বলে জামায়াত সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ বা বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে জামায়াত মনোনয়ন বোর্ড দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে থাকে। কিন্তু জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়টি ভিন্ন। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক নিয়মে এক থেকে দুই বছর আগে জামায়াত তার প্রার্থী চূড়ান্ত করে। বিগত নির্বাচনগুলোতেও তাই হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত দেশের শতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। এই অবস্থায় জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল নিয়ে একটি জোট হতে পারে বলে গুঞ্জন আছে। এ প্রসঙ্গে আবদুল হালিম বলেন, জোট করা নিয়ে আলোচনা আছে; কিন্তু সিদ্ধান্ত নেই। আমরা মনে করি জোট গঠনের চেয়ে মাঠের ঐক্যটাই জরুরি।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দশক ধরে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওই বিষয়গুলোকেই এত দিন যুক্তি হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেন, গত এক যুগের বেশি সময় ধরে তারা অস্বস্তিতে ছিলেন।
গত ১০ জুন সমাবেশ করার মধ্য দিয়ে তাদের সেই অস্বস্তি কিছুটা কেটে গেছে। ভিসানীতির সুবিধা নিয়ে গত ১০ জুন দীর্ঘ দশ বছর পর রাজধানীতে সমাবেশ করেছে দলটি। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন তালিকায় দলটির নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্তি করা এবং রাজধানী ঢাকার মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় চালু করতে চায় জামায়াত।