দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বক্তব্য অসত্য বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করে ১৯২ জন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত মার্কিন নাগরিক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, শিক্ষাবিদ ও যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারকদের সমন্বয়ে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা, নিম্নস্বাক্ষরকারী বাংলাদেশি-আমেরিকানরা, কংগ্রেসম্যানদের চিঠি থেকে মিথ্যা তথ্য প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করছি।
’উল্লেখ্য, ওই কংগ্রেসম্যানরা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এর আগে বাংলাদেশি হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং তাদের নেতারা কংগ্রেসম্যানের এই চিঠিকে ‘মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এরপর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের এই বিবৃতি এল।
বাংলাদেশি আমেরিকানরা বিৃবৃতিতে উল্লেখ করেন, কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতি অক্টোবর ২০০১ -এর সংসদীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে উপেক্ষা করেছে ওই নির্বাচনে ‘বিজয়ী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াত-ই-ইসলামের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময়ে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংস নির্যাতন সংঘটিত হয়েছিল।’
তারা বলেছেন, কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতিতে বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে খ্রিস্টান জনসংখ্যার নিপীড়ন সম্পর্কে বানোয়াট তথ্য রয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দেওয়া মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে থাকা এই ‘ভুল তথ্য’ -কেবল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অধিকারের বিষয়ে কংগ্রেসম্যানদের অবস্থানের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষুণ্ন করবে না, অধিকন্তু নিম্ন স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। বিবৃতি দাতারা মনে করেন, মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের এই সমস্ত মিথ্যা বিবৃতি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলবে।