দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশালে চরমোনাই পীরের দরবার শরীফে এসেছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়রপুত্র সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফে এসেছিলেন বলে জানা যায়। এসময় তার সঙ্গে গাজীপুর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে মুঠোফোনে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য কে.এম শরীয়াতুল্লাহ। তিনি জানান, শায়েখে চরমোনাই (ফয়জুল করিম) আহত হওয়ার খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম দরবার শরীফে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি আসেন। তবে এটি কোনো রাজনৈতিক সাক্ষাৎ ছিল না। ফয়জুল করিমের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলে বের হয়ে যান জাহাঙ্গীর আলম। কে.এম শরীয়াতুল্লাহ বলেন, এবারই প্রথম নয়, জাহাঙ্গীর আলম এর আগেও বেশ কয়েকবার চরমোনাইয়ের বাৎসরিক মাহফিলে এসেছিলেন। এবার হুজুরের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে এলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। নির্বাচনের দিন (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্রে ফয়জুল করিমের ওপর হামলা হয় এবং তিনি আহত হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের না হলেও দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। নির্বাচনে ৩৩ হাজার ৮২৮টি ভোট পেয়ে পরাজিত হন ফয়জুল করিম। তার ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (১৬ জুন) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন। এ আন্দোলনে নির্বাচন কমিশনকে ‘ইন্তেকাল কমিশন’ ঘোষণা দিয়ে অপসারণ ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করান আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন।