বরিশালে নবীনের সঙ্গে প্রবীন জিতেছেন টায়টায়

আলম রায়হান:

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিমন্ত্রী পন্থী ১০ কাউন্সিলরের ৭ জনই ফেল করেছেন। সিটির এই কাউন্সিলররা মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে ‘অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার’ মৃদু অভিযোগ তোলেন। এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের গ্রুপের লোক বনে যান । কিন্তু এদের মধ্যে ৭ জনের কপাল পুড়েছে ১২ জুনের নির্বাচনে। এবং একজন কোন রকম রক্ষা পেয়েছেন মাত্র ৬৬ ভোটে।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। কিন্তু তিনি বরিশালের রাজনীতিতে তেমন কোন অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। এমনকি নিজের নির্বাচনী এলাকায় তার দৃশ্যমান তৎপরতা সীমাবদ্ধ ছিলো কেবল ১০ ইউনিয়নে। তবে বিসিসির ৩০ কাউন্সিলর মধ্যে ১০ জনকে বছর দুই আগে কাছে টানতে সফল হয়েছেন। আর তার এই সাফল্যই সর্বনাশের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের জন্য।

এখানেই শেষ নয়। প্রতিমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ১০ সিটি কাউন্সিলরের মধ্যে যে ৩ জন পাস করেছেন তাদের মধ্যে আনিছুর রহমান দুলাল রক্ষা পেয়েছেন কোন রকম। যদিও তিনি সাধারণ কোন ব্যক্তি নন। তাঁর রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। তিনি বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নানক-শহিদ প্যানেলের এজিএস ছিলেন। শহীদ খানের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জাহাঙ্গীর কবীর নানক রাজনীতির কঠিন পথ অতিক্রম করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর আসরে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি এখন কেবল আওয়ামী লীগের নন, তিনি জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

এদিকে বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে থাকা কেবল নয়, জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আনিছুর রহমান দুলাল। এরপরও তিনি  মাত্র ৬৬ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তার সঙ্গে জেসমিন সামাদ শিল্পীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই  হয়েছে। অথচ স্বতন্ত্র প্রার্থী  জেসমিন সামাদ শিল্পীর এবারই ছিলো জীবনের প্রথম নির্বাচন।