Home আন্তর্জাতিক বিদ্রোহের ঘটনাকে কোথায় নিয়ে যাবেন পুতিন?

বিদ্রোহের ঘটনাকে কোথায় নিয়ে যাবেন পুতিন?

দখিনের সময় ডেস্ক:

প্রেসিডেন্ট পুতিন ওয়াগনার বিদ্রোহের ঘটনাকে শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যাবেন সেটা এখন বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বিদ্রোহের মুখে পুতিনকে অত্যন্ত দুর্বল মনে হয়েছে। প্রিগোজিনের নেতৃত্বে যেখানে পুরো দিন ধরে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব চলেছে। আর বিপদ থেকে বাঁচতে বেলারুশের নেতার ওপর পুতিনের ভরসা করাটাও দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে।

ওয়াগনার সৈন্যদের দ্রুতগতিতে অগ্রসর হওয়ার ঘটনায় প্রথম কয়েক ঘণ্টায় পুতিনকে পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণহীন এক নেতা মনে হয়েছিল জুনের দীর্ঘ এক রাত আর এক দিনের জন্য রাশিয়ার কুখ্যাত ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন দৃশ্যত এক বিদ্রোহ ঘটালেন। প্রশ্ন তুললেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের নীতি নিয়েও।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার সাবেক এই মিত্রের বিরুদ্ধে ‘সশস্ত্র বিদ্রোহ’ এবং ‘দেশের পিঠে ছুরিকাঘাত’ করার অভিযোগ তুলেছেন। তবে শনিবার শেষের দিকে প্রিগোজিন নাটকীয় বিদ্রোহের আচমকা অবসান ঘটান এবং নিজ বাহিনীর সৈন্যদের ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ওয়াগনারের ২৫ হাজার ভাড়াটে সৈন্যকে নিয়ন্ত্রণে আনার একটি উপায়ও খুঁজে পেয়েছে। তাদের অশান্ত নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন আপাতত দৃশ্যপটের বাইরে। তবে এই খেলা এখনই থামছে না। এদিকে ২৪ ঘণ্টার এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু রয়েছে অজানা। শনিবার(২৪ জুন) মস্কো অভিমুখে সৈন্যদের এগিয়ে যাওয়ার এই ঘটনাকে ওয়াগনার প্রধান অভ্যুত্থান নয়, ‘ন্যায়ের জন্য যাত্রা’ বলে অভিহিত করেন। তবে এর অবসান ঘটেছে অবিশ্বাস্য গতিতে।

অনেকেই বলছিলেন, যুদ্ধ এখন পুতিনের দরজায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু ওয়াগনারের সামরিক বহর মস্কোর উত্তরের দিকে পৌঁছানোর সাথে সাথে একটি চুক্তির খবর আসে। আর অনেকটা অদ্ভুতভাবে এই চুক্তিও হয় বেলারুশ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায়। এই গল্পকে খুব কম মানুষই যতটা সহজে বিশ্বাস করেন, বিষয়টা আসলে ততটা সহজ নয়। তারপরও চুক্তির পর ক্রেমলিনের অবস্থান যদি সঠিকই হয়, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ায় প্রিগোজিনের ভূমিকার অবসান ঘটতে পারে।

ক্রেমলিন বলছে, চুক্তি অনুযায়ী ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন বেলারুশে যাচ্ছেন এবং তিনি কোনও ধরনের ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হবেন না। পাশাপাশি তার বাহিনীর যোদ্ধাদেরও সাধারণ ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বিদ্রোহ কি একেবারেই রক্তপাতহীন ছিল? এটি এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ অন্তত একটি সামরিক উড়োজাহাজ গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

শিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা শিগগিরই: শিবির সভাপতি

দখিনের সময় ডেস্ক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে সেক্রেটারিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। গতকাল শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে...

সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার

দখিনের সময় ডেস্ক সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরীকে রাজধানীর আদাবর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার রাজধানীর...

শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

দখিনের সময় ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে বাড়ির সামনে থেকে তাহমিনা আক্তারের (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত...

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ

দখিনের সময় ডেস্ক: রাজধানীর পল্লবীতে শামসুন্নাহার (৫২) নামের এক নারীকে নিজ হাতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ঘাতক স্বামীর নাম মোখলেছুর রহমান (৫২)।...

Recent Comments