Home শীর্ষ খবর কেয়া কসমেটিকস পরিবারের ১৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

কেয়া কসমেটিকস পরিবারের ১৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

দখিনের সময় ডেস্ক:
১৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচ মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই মামলাগুলোর চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদক জানায়, ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্তে যা কিছুটা কমেছে।
মামলাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। যা যাচাই-বাছাই করে ৫২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১০১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৪ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কেয়া কসমেটিকস পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তে যা কিছুটা কমেছে
তদন্তে আরও দেখা গেছে, আবদুল খালেক পাঠানসহ স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাদের নামে পৃথক পাঁচটি সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদক সচিব বরাবর সম্পদবিবরণী দাখিল করেন আবদুল খালেক পাঠান। তার দাখিল করা সম্পদবিবরণী যাচাই  ও অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আসামি আবদুল খালেক পাঠান তার দাখিল করা সম্পদবিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ মোট  ৪৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেছেন। এদিকে, আবদুল খালেক পাঠানের স্ত্রী ও কেয়া কসমেটিকসের পরিচালক ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৭  লাখ ৪৫ হাজার ৮৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে অনুমোদিতে চার্জশিটে। যদিও মামলায় আরও বেশি অবৈধ সম্পদের অভিযোগ ছিল। এছাড়া ২০১৯ সালের ২৩ জুন দাখিল করা সম্পদবিবরণী যাচাই-বাছাই করে দুদক ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের  অভিযোগ আনে।
একইভাবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের পরিচালক ও আবদুল খালেকের ছেলে মো. মাসুম পাঠানের বিরুদ্ধে ৯০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মাসুম পাঠানও ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদবিবরণী দাখিল করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

বিআরইউ’র সভাপতি আনিসুর, সম্পাদক খালিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির (বিআরইউ) সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন (নিউ এইজ / ঢাকা ট্রিবিউন) আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন খালিদ সাইফুল্লাহ (নয়া...

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের জানাজা শেষে বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে...

অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর গ্রেফতার

দখিনের সময় ডেস্ক: চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে আটক করা হয়। নিউমার্কেট থানার...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম...

Recent Comments