দখিনের সময় ডেস্ক:
মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ভারতের গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত। এবার সেই সাজা স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবারের (৪ আগস্ট) এ রায়ের মধ্য দিয়ে দেশটির পার্লামেন্টের এমপি পদ ফিরে পেলেন রাহুল। এমনকি আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে অংশ নিতেও তাঁর আর কোনো বাধা থাকল না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, মোদির পদবি নিয়ে মন্তব্য করায় কংগ্রেসের সাবেক এ সভাপতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মানহানি মামলা হয়েছিল। মামলাটি করেছিলেন গুজরাট প্রশাসনের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। সে মামলায় গুজরাটের আদালত তাঁকে ২ বছরের সাজা দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।বিচারপতি আরএস গাভাই এবং পিকে মিশ্রের বেঞ্জ দুই বছরের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে শুক্রবার। শুনানির সময় দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, মানহানি মামলায় রাহুলকে দুই বছরের সাজা দেওয়ার কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে পারেননি গুজরাটের আদালত। এ কারণে তাঁকে দেওয়া সাজা স্থগিত করা প্রয়োজন।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় নরেন্দ্র মোদির পদবি নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে।
কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘সব চোরের পদবি ‘মোদি’ হয় কেন?’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা করেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, পুরো মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল।