দখিনের সময় ডেস্ক ॥
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় এক সাইকেল মেকানিকের দোকানে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১৪ টাকা! উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের এমএ তুহিন কামালের সাইকেল মেকানিকের দোকানে এ বিল এসেছে। পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের এমন রেকর্ড দেখে হতবাক স্থানীয়রা।
এমএ তুহিন কামাল গণমাধ্যমকে জানান, তার মেকানিকের দোকানে ১টি ফ্যান ও ১টি লাইট ব্যবহার হয়। এত তার মসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আসে। কিন্তু জুলাই মাসে এসে জুন মাসের যে বিল দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯০ টাকা। বিলম্ব মাশুলসহ যার মূল্য ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১৪ টাকা।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাইমুল হাসান গণমাধ্যমের কাছে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটিকে স্রেফ ‘ডাটা এন্ট্রি মিসটেক’ ।
কিশোরগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের ’গ্রেট মিসটেক’র জন্য দায়ী ও-ই অফিসের বিলিং সহকারী শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, আমারা ইতি মধ্যে, গ্রাহক এমএ তুহিন কামাল কে তাঁর মিটার রিডিং করে একটি সংশোধিত বিলের কপি প্রদান করি এবং তিনি সেই বিল ইতি মধ্যে পরিশোধও করে দিয়েছেন।
মোহা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ইতিমধ্যে গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, তিনি তাঁর কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁরা তাঁদের উপর অর্পিত কাজ খুবই সতর্কতার সাথে করেন।