দখিনের সময় ডেক্স:
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে বকশিস না দেওয়ায় আহসান হাবিব নামের এক কর্মচারী দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক ছাত্রী ও তার পরিবার। গতকাল বুধবার করোনা কেয়ার ইউনিটে (সিসিউ) এ ঘটনা ঘটে। এসময় মুঠোফোনে ভিডিও করলে ওই ছাত্রীর ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন আহসান হাবিব নামের এক ওয়ার্ডবয়।
অভিযুক্ত আহসান হাবিব বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে আসা রোগীদের থেকে প্রতিটি কাজের জন্য টাকা আদায়সহ চরম অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে বাবাকে হৃদরোগের সিসিউ-১ এর বি-১৬ নম্বর বেডে ভর্তি করাই। গেটে ঢুকা থেকে শুরু করে হুইল চেয়ারে ওয়ার্ডে নিয়ে আসা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই কর্মচারীরা চা-নাস্তার নামে টাকা দাবি করেন। গত ২৮ এপ্রিল বাবাকে রিলিজ দেওয়া হলে প্রেসক্রিপসন দেওয়ার নামে তিনজন ওয়ার্ড কর্মচারী টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে আপত্তি জানালে হুট করে হাবিব নামে এক কর্মচারী এসে আমাদের ওপর চড়াও হন। এসময় আমি ফোনে ভিডিও করতে চাইলে তিনি মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ’
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করেন আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের আচরণ করতে পারি না। কালকে আমাদের এক স্টাফের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে সমাধান করে দিছে।’ ফোন ছুঁড়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাকে ভিডিও করতে না করে হয়েছিল। মোবাইলে হাত দেয়া হয় নাই।’