দখিনের সময় ডেস্ক:
মুক্তা বেগম (৪০)। সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন। প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লার থেকে সেজে আসেন তিনি। তার সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় কেউ তাকে সন্দেহ করেন না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিয়মিত ছিনতাই করছেন মুক্তা।
রাজধানীর মিরপুরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী তিনি। প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লার থেকে সেজে আসেন এই নারী। যাতে সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে করে কেউ তাকে সন্দেহ না করেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিয়মিত ছিনতাই করতেন মুক্তা। রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সাতবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। প্রতিবারই ছাড়া পেয়ে পুনরায় একই কাজ করেন মুক্তা।
প্রথমে মুক্তা তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। মায়ের সঙ্গে টুকটাক চুরি করতেন। কিন্তু মা অসুস্থ হওয়ায় নিজেই দল গড়েন। পরে তিনি একজনকে সঙ্গে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরেই ছিনতাই শুরু করেন। রবিবারও একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক মেয়ের মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন মুক্তাকে আটক করেন। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান, গ্রেপ্তার মুক্তা তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এর আগেও তাকে সাতবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মুক্তা মার্কেটে গিয়ে আগে থেকে কোনো মেয়েকে টার্গেট করেন। টার্গেট ওই মেয়ের সঙ্গে তিনি ঝগড়া বাধান। এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান।