দখিনের সময় ডেস্ক:
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকসহ পাঁচটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় প্রবেশ পথগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা গেই (প্রান্তিক গেট), মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেট, বিশমাইল গেট ও আমবাগানের প্রবেশপথে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে প্রায় আধা ঘন্টা পর সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের নির্দেশে তালা খুলে দেন নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত প্রহরীরা।
দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশপথে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে প্রধান ফটকে উপস্থিত হন সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ। তিনি এ সময় নিরাপত্তা প্রহরীদের তালা ভেঙে ফেলতে বলেন। সকাল ৮টার দিকে তালা খুলে দিলে আবার যানবাহন চলাচল ও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ ছাড়া আধা ঘণ্টা পর প্রান্তিক গেট ও মীর মশাররফ হোসেন হল ও আমবাগান গেইটের তালাও একই সময় ভেঙে ফেলা হয় বলে জানান দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীরা।
প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম ও নিরাপত্তা প্রহরী শাহ আলম জানান, ‘সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে হঠাৎ করে গেট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই তালা লাগিয়ে দিয়ে চলে যায় তারা। পরে কন্ট্রোল রুমে জানালে তালা ভেঙে ফেলতে বলে। আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমরা তালা খুলে দেই।’
কেন্দ্রঘোষিত তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের ফটকগুলোতে তালা লাগানো হয়েছে জানিয়ে ছাত্রদল নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ কর্মসূচি পালন করেছে। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে এই বার্তা দিচ্ছে যে অবিলম্বে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাবি ছাত্রদল দূবার্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্রলীগের প্রশাসনের মদদপুষ্ট হয়ে ছাত্রলীগের সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রতিহত করে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে।’
এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সকালে মীর মশাররফ হোসেন হলের গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখি তালাবদ্ধ। পরে ডেইরি গেটে এসে দেখি সেখানেও তালা মারা ও ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে আমাদের চোখে পড়েনি। আমি দ্রুত তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি। কারণ, এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রবেশ করবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্যই নিরাপত্তা অফিসকে দ্রুত সবগুলো তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।’