দখিনের সময় ডেক্স:
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের মারধোর করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি– সম্পাদককে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য মোঃ শাহাবুদ্দিন শিহাব ।
গত রবিবার সকাল ১১ টায় আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য সাহাবুদ্দিন শিহাব লিখিত অভিযোগে বলেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মাদক সেবন করে মানুষের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন। তার আচরনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। কেহ এর প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষীক নির্যাতন।
গত ২৮ এপ্রিল বুধবার আনুমানিক বিকাল ৩টার দিকে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মতি হাওলাদারের পুত্র মোঃ সোহেল কথা আছে বলে আমাকে চাওড়ার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ মোহাসিন হাওলাদারের বাসায় ডেকে নেয়। সেখানে ডেকে নিয়ে কোনো কারন ছাড়াই সোহেল, সুমন আকন, হিরনসহ তার সাথে থাকা লোকজন আমাকে মারধোর করে। এসময় আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি তারা রেখে দেয়।
এই ঘটনা দলীয় বড় ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা, তৌকির, জাকারিয়াকে জানাতে তাদের বাসায় যাই। ছাত্রলীগ নেতা ত্বোহাকে বিষয়টা জানিয়ে আমার সাথে থাকা ছাত্রলীগ নেতা– কর্মীদের নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে পধিমধ্যে মিঠাবাজার এলাকায় সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান, সোহেলসহ ৮/১০ জন সকলে মাদকাসাক্ত অবস্থায় আমাদের ঘিরে ফেলে এবং মারধোর শুরু করে। তখন আমরা ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা প্রানে বাঁচার জন্য পাল্টা রুখে দাঁড়াই।
ওই ঘটনার পর থেকে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খানের নির্দেশে সোহেল, রাসেল ও রুবেল ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা আতংকের মধ্য জীবন যাপন করছে। অনেকে বাড়ি ঘরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেনা। যাযাবরের মত এ বাসায় ও বাসায় ঘুরে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
ওই ঘটনাকে বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের নামে আমতলী থানায় মিথ্যা মামলা দিয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন খান , ছাত্র লীগ কর্মীরা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনগত সু–বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সু–দৃষ্টি কামনা করেছেন।