Home মতামত নির্বাচনে বাস্তবতা উপেক্ষিত

নির্বাচনে বাস্তবতা উপেক্ষিত

অন্নতে ছন্ন দেবার মতো গলদঘর্ম নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুসারে চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি, ২০২৪। কিন্তু এ নির্বাচন এখনো যত না উৎসব দ্যোতনার, তার চেয়ে অনেক বেশি কৌশল, কূটকৌশল, অনিশ্চয়তা ও নানান আশঙ্কায় পরিপূর্ণ। ভোটাররা এখনো মুখ্য হয়ে ওঠেনি। ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর ভোটারদের উপযোগ হ্রাস পেতে পেতে অনেকটা তলানিতে ঠেকেছে। ফলে বরিশালের মতো রাজনীতির জটিল ভূমিতেও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আর দেশে কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, ভোটাররা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় সরকার তথা, ইউনিয়ন-উপজেলা-পৌরসভা-সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনেও। এর দায় যেমন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের, তেমনই দায় আছে বিএনপিরও। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, কোনো তরফই বিন্দুমাত্র নিজের দায় স্বীকার করছে না। বরং আয়না অন্যের দিকে ধরে রাখে। যাতে হায়না দৃশ্যমান! একে অন্যের দিকে আঙুল দেখায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচন অনেকটাই আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ হয়ে আছে। এর মধ্যেও উন্মুক্ত করার কৌশলে ভোটের ময়দান কিঞ্চিত গরম করা গেছে। তবে ভোটারদের আগ্রহ এখনো জাগ্রত হয়েছে বলে মনে হয় না।
এর কারণ কেবল বিএনপির ভোট বর্জন নয়, নৌকার প্রার্থীদের আচরণও অনেকখানি দায়ী। অসংখ্য মাঝি যেন আচরণবিধি মানতেই চাচ্ছেন না। কঠিন বাস্তবতা অনুধাবন অনেক দূরের বিষয়। যেন দিল্লি দূর অস্ত! যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গলা ফাটিয়ে বলেছেন, সবাই আচরণবিধি মেনে চলুন, আচরণবিধি না মানলে এবং ফাউল করলে খবর আছে! এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ ডিসেম্বর বলেছেন, নির্বাচনে সংঘাত করলে রেহাই নেই। কিন্তু এত কিছু বলার পরও মাঠের খবর কী? পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার দিন ২২ ডিসেম্বর বহুলপ্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান খবরের শিরোনাম, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা বেশি’। পর্যক্ষেক মহল মনে করছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর নৌকার প্রার্থীদের হামলা এবং ঘরে তুলে দেওয়ার প্রয়াস এবারের নির্বাচন থেকে জনগণকে অধিকতর দূরে নিয়ে যাচ্ছে; যা প্রকারান্তরে বিএনপির বর্জনের আগুনে হাওয়া দিচ্ছে। এদিকে কথিত ‘হেভিওয়েট হিসেবে’ খ্যাত অনেক প্রার্থী বেশ টেনশনে আছেন। ভোটের মাঠে তাদের অবস্থা অনেকটাই চিড়িয়াখানার বৃদ্ধ ও বিধ্বস্ত বাঘের মতো। যারা মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার দিনগুলোয় ছিলেন চাতক পাখি। অথবা নজরুলের অমর গান, ‘গানগুলি মোর আহত পাখির সম লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে…।’
এদিকে আসন ছাড় প্রত্যাশায় আমাদের রাজনীতির বাঘা বাঘা নেতাদের বদন দেখে অনেকেরই সেই গানটি মনে পড়েছে, ‘একটি গন্ধমের লাগিয়া …’। এর প্যারোডি হতে পারে, ‘একটি আসনের লাগিয়া …’। একই সঙ্গে পুরনো আমলের একটি শিশুতোষ পাঠ্য মনে পড়ে কারও কারও, ‘রাজা নিজ সিংহাসনে বসিয়া নিজহস্তে প্রজাদিগকে অর্থ দান করিতেছেন।’ এখানে ‘আসন’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করলে বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, ভোটের রাজনীতিতে এ দৈন্যের দায় কার? দায় বেশি-কম কার এবং মাত্রা নির্ধারণ নিশ্চয়ই ফাতরা বিশ্লেষণের বিষয়। এটি গবেষকদের কাজ। তবে আমজনতা বেশ অনুভব করে, ২০১৪ সালে নির্বাচনি ধারা থেকে দূরে থেকে বিএনপির প্রথমে জামায়াত ও পরে বিদেশনির্ভরতা এবং আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ ও নানান কূটকৌশলী পথে হাঁটার নিরন্তর প্রয়াস গোটা নির্বাচনব্যবস্থার ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে বিএনপি দূরে থাকা কেবল নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে অগ্নিসন্ত্রাসে পুরো দেশটাকে প্রায় নরক বানিয়ে দিয়েছিল। এর পরও সরকার পতনের প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোটের। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গেছে বিধ্বস্ত বিএনপি। তবে এটি মোটেই অংশগ্রহণ নয়। নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন টিকিয়ে রাখা। বিধান অনুসারে পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। ফলে বিএনপি ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে দল রক্ষার কৌশল হিসেবে। আর বিপরীতে পুরো সুযোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, ঈগলের ছোঁ মারার ক্ষিপ্রতায়। ফলে ‘জলে শিলা ভাষা’র মতো বিএনপি পেয়েছে মাত্র ছয়টি আসন; যা কেউ বিশ্বাস করেনি। খনার প্রবচন আছে, জলে শিলা ভাসে দেখলেও বিশ্বাস করবে না। এর পরও বিষয়টি আওয়ামী লীগকে অধিকতর অহমে নিমজ্জিত করেছে।
এদিকে বিএনপি-জামায়াত জনগণনির্ভরতা বাদ দিয়ে একমাত্র করণীয় হিসেবে বিদেশি শক্তিমুখী হয়েছে। আরও সোজা কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে ভর হয়েছে। শিশুরা যেমন চাচা-মামাদের কাঁধে চড়ে মেলা দেখতে যায়। বিএনপির জন্য এখন যেন যুক্তরাষ্ট্রই ভরসা। যেমন ১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভরসায়। এমনকি যুদ্ধের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের আগমনে উজ্জীবিত হয়ে পাকিস্তানি সেনারাও বলত, ‘আতা হ্যায়’। কিন্তু শেষতক কিছুই আসেনি। আসলে ধরাধামে আর আবাবিল পাখি আসে না। এখন চলছে বাজপাখির প্রাধান্য।
এবার আওয়ামীবিরোধী শক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কিছু আসবে, নাকি সমুদ্রের গ্যাস ব্লক এককভাবে নেওয়ার মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকেবে তা এখনই বলা মুশকিল। তবে কারও কারও মতে, যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে ক্ষমতাসীনদের অতিকথন এবং চীন-রাশিয়া-ভারত তোষণ পরিস্থিতি বেশ জটিল করে ফেলেছে। এ জটিলতার ফল শেষতক কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। তবে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা এবং মিত্র হিসেবে খ্যাত খুচরা দলগুলোর শীর্ষনেতাদের দৈন্যদশা আয়নার মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। এঁরা সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী থাকার পরও ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। ফলে তাঁদের ‘আসন দান’ করার ধারায় কেবল নৌকার প্রার্থীকে বসিয়ে দিলে হবে না, নির্বাচনি মাঠে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়ার আবদার করা হয়েছে। এ যেন কেবল কলা দিলেই হবে না, ছিলেও দিতে হবে। আহারে আমাদের জাতীয় নেতা!
স্মরণ করা যেতে পারে, এ প্রজন্মের কারণেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত অনেক সহজ হয়েছিল। এর পরও এদের সঙ্গে রেখেছেন শেখ হাসিনা। জেনেশুনে বিষ পান করার মতো। নীলকণ্ঠ। এদিকে সরকারি দলের কথিত হেভিওয়েট নেতা ও মন্ত্রীরাও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভয়ে থরকম্প। যেন নেকড়ের সামনে মেষশাবক।
ভোটের মাঠ সরগরম করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেখানে দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার দরজা খোলা রেখেছেন, এমনকি প্রকারান্তরে উৎসাহ দিচ্ছেন; সেখানে নৌকার বেশির ভাগ প্রার্থীই চলছেন উল্টো রথে। এদের মধ্যে দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী অন্য রকম রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। মন্ত্রী দুজন হচ্ছেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও নূরুল ইসলাম সুজন। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিইসির কাছে চিঠি দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন তাঁর জেলার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে কুজন হিসেবে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করেছেন; যা তাঁর এখতিয়ারের বাইরে। অভিযোগ, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় নৌকার পক্ষের প্রচার ব্যাহত হবে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে আলোচিত কর্মটি করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহিদ ফারুক শামীম। তিনি বরিশাল-৫ (সদর) আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর স্বতন্ত্র প্রার্থিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন; যা জেলা হয়ে গেছে নির্বাচন কমিশনে, এরপর পৌঁছেছে উচ্চ আদালতে। ফলে বিষয়টি ঝুলে আছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে পরবর্তী তারিখ ২ জানুয়ারি। আর ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি। এদিকে সাদিক আবদুল্লাহকে হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর ঈগল প্রতীক বরাদ্দ করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। আপিল ডিভিশনে আবেদন শোনার নির্ধারিত তারিখে যদি সাদিকের প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল হয়ে যায়, তাহলে ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন বরিশালে ভোটের উৎসব হবে নাকি শোকের পরিবেশ বিরাজ করবে, তা নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ আছে। আবার পচা শামুকে পা কাটার মতো অবস্থা হতে পারে নৌকার মাজুল মাঝির এবং সাদিকের প্রার্র্থিতা বহাল থাকলে ঝুলে যেতে পারে বরিশাল সদর আসনের নির্বাচন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নৌকার যে মাঝিরা দিবানিশি লেগে আছেন, তাঁরা আসলে এবাবের নির্বাচনের অন্তর্নিহিত বাস্তবতার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন। সামনের কঠিন বাস্তবতা তাঁরা বিবেচনায় নিচ্ছেন বলে মনে হয় না। প্রসঙ্গক্রমে স্মরণ করা যেতে পারে, ৮ ডিসেম্বর কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে দেশে এমন অবস্থা করবে, যাতে দুর্ভিক্ষ হয়। এতে বিদেশিদের প্ররোচনা আছে।’ সবাই জানেন, রাজনীতিতে শেখ হাসিনাকে কুপোকাত করার জন্য এবারের নির্বাচনকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে বেছে নিয়েছে বিদেশি শক্তি। এ পরিকল্পনার বিপরীত চাল হিসেবে আওয়ামী ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠে নামিয়েছেন হাইকমান্ড। কিন্তু মাঠে চলছে উল্টো স্রোত। ফলে ভোটের আগেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্মূল করতে নৌকার মাঝিরা যেন বৈঠা নিয়ে রণে নেমেছেন। অভিজ্ঞ মহল মনে করে, নৌকার যেসব প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটের মাঠের বাইরে আদাজল খেয়ে লেগেছেন, তাঁরা আসলে এবাবের নির্বাচনের বাস্তবতা উপেক্ষা করে কেন্দ্রের ইঙ্গিত, এমনকি প্রকাশ্য নির্দেশনা আমলে নিচ্ছেন না।
এ অবস্থায় এবারের নির্বাচনকেন্দ্রিক বাস্তবতা হাটবাজারে তোলার মতো উন্মুুক্ত করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। ২১ ডিসেম্বর বিকালে পাঁচ জেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন, জনগণ ভোট দেবে। ভোটের মালিক জনগণ, এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা এটা উন্মুুক্ত করেছি। আমাদের নৌকার প্রার্থী আছে, স্বতন্ত্র আছে, অন্যান্য দলও আছে। প্রত্যেকে জনগণের কাছে যাবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে-ই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা চাই জনগণ তার ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করুক। যাকে খুশি তাকে পছন্দ করবে, তাকে ভোট দেবে। সে জয়ী হয়ে আসবে।’ কিন্তু তার দলের নৌকার হেভিওয়েটরা কী করছেন?
বিএনপিহীন নির্বাচনেই নৌকার মাঝিদের এই ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা! বিএনপি নির্বাচনে এলে কী দশা হতো? আর নির্বাচনের মাঠে বিএনপি এখন নেই বলে যে কখনো আওয়ামী লীগের মুখোমুখি দাঁড়াবে না তা কি ‘তামার পাতে’ লেখা আছে? তখন কী হবে ননির পুতুলসম আওয়ামী নেতাদের! এ প্রসঙ্গে একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশে রাজনীতিতে শুধু দুটি পক্ষ। একটি আওয়ামী লীগ এবং অন্যটি অ্যান্টি অওয়ামী লীগ। এ অ্যান্টি আওয়ামী লীগের প্রধান অংশের নাম এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। ভবিষ্যতে হয়তো অন্য নাম ধারণ করবে। সঙ্গে আরও অনেক নামের অ্যান্টি আওয়ামী লীগের খুচরা অংশ তো আছে এবং থাকবে। এ বাস্তবতা ভুলে গেলে তা কুঠার নিজের পায়ে নয়, হবে মাথায় মারার শামিল।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

রাজনীতিতে রনো ভাইরা আর নেই

রিকশায় না এসে প্রাইভেট কারে আসা এবং ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে থাকার বিষয়ে রনো ভাইয়ের লজ্জিত হওয়ার বিষয়টি আমাকে বহু বছর ধরে বহুবার আন্দোলিত করেছে। ধরাধাম...

যা অছে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির রিপোর্টে

দখিনের সময় ডেস্ক: ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে দুবাই শহরে সাড়ে বাইশ কোটি ডলারের সম্পদ কিনেছেন ৩৯৪ জন। তবে আরও বিভিন্ন তথ্যাদি...

পুলিশের খপ্পরে মৌ চাষির ট্রাক, মরেছে পাঁচ লাখ টাকার মৌমাছি

দখিনের সময় ডেস্ক: দিনাজপুর থেকে ট্রাকে করে ২৫১ বাক্স মৌমাছি নিয়ে রাজবাড়ীতে আসছিলেন মৌচাষি মো. খলিফর রহমান। পথে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের মনসার বটতলা...

বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে

দখিনের সময় ডেস্ক: বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ হলে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে। এ কথা জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ...

Recent Comments