কাজী হাফিজ:
বরিশাল নগরীতে রাতের আঁধারে ভরে ফেলা হচ্ছে পুকুর। কিন্তু সকলে আছে ছোখ বন্ধ করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগেই জলাধার সংরক্ষণ আইন অমান্য করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। যা পরিবেশ আইন ২০০০ ও সংশোধিত ২০০৫ এর সরাসরি লঙ্ঘন। এতে স্থানীয় ও পরিবেশবাদীদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পরিবেশ অধিদপ্তর।
সরকারি ৩৩ শতাংশ জমির ওপর থাকা নার্সিং কোয়ার্টারের পুকুরটি রাতের আঁধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। মৌজা ম্যাপ, দলিলে পুকুর উল্লেখ থাকলেও তা মানছেন না ভরাটকারী প্রতিষ্ঠান। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং একই অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেইনিং সেন্টার (নিপোর্ট) পুকুর ভরাটের কার্যক্রম চালাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দেয়াল ভেঙে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মাঝরাতে ট্রাকে করে বালু এনে পেছনের পুকুরটি ভরাট শুরু করা হয়। একরাতেই পুকুরের অধিকাংশ স্থান ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থানীয় ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া আলেকান্দা মৌজায় ১৬১১ খতিয়ানে ও ২৪৫৪ দাগে ৩৩ শতাংশ জমিটি পুকুর হিসেবে উল্লেখিত। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা জমিটির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুরটি নিচু জমি দেখিয়ে সেখানে ভরাট করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের প্রকল্প পাস করিয়েছেন। আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বরিশালের অফিস প্রধান শওকত আলী বলেন, জমিটি একবছর আগেও আমাদেরই ছিল। পরে সমাঝোতা ভিত্তিতে গতবছর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। জমিটি দেওয়ার সময়ে আমরা এটি পুকুর হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এএইচ রাশেদ জানান, এটি জেলা কার্যালয়ের দেখার কথা। জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কামাল মেহেদী জানান, আমরা অভিযোগ পেয়ে অফিসের স্টাফ রফিক মিয়াকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি ও কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে।