অনেক সময়ই মনে হতে পারে, পানি নিয়ে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে আর কোনো কিছুই করার নেই। কেবল চাতক পাখির মতো ভারত পানে তাকিয়ে থাকলেই হবে। আর সেই ‘কানুবিনে গীত নাই’ ধারায় কিছুদিন পরপর বলা, এই তো তিস্তা সমস্যার সমাধান হচ্ছে! পাশাপাশি নানান উন্নয়নের নামে অভ্যন্তরীণ পানির সর্বনাশ করার তান্ড তো চলছেই।
মানতেই হবে, পানি নিয়ে ভারতকেন্দ্রিক বিষয়টি হিমালয়সম বিশাল। এ পাহাড় কবে টলবে, আদৌ টলবে কি না তা বলা কঠিন। এ নিয়ে ইদানীং কথাবার্তাও তেমন হয় না। ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ২৪ জানুয়ারি রাতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’ খুবই আশার কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- আমাদের প্রাণভোমরা পানি ভারতের হাতে, তার কী হবে?
পাহাড় টললেও নিশ্চয়ই এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না। আর অলৌকিক কোনো এক কারণে কোনো এক দিন ভারতের সঙ্গে পানি সমস্যার পাহাড় অপসারিত হবে- এ আশা নিশ্চয়ই অবান্তর। এরপরও কী কারণে পানি নিয়ে নিজের অভ্যন্তরীণ করণীয় থেকে দূরে রয়েছে বাংলাদেশ? আর এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কেন একজন প্রতিমন্ত্রী! তাও ছোটবেলায় পানিতে ডুব সাতার-চিত সাতারসহ নানান ধরনের সাঁতার কাটা ছাড়া পানি বিষয়ে তাঁর আর কোনো ধারণা আছে কিনা তাও বলা কঠিন। আর পেশাগত দীর্ঘ জীবনে দেশরক্ষার গভীর জ্ঞান এবং অল্প সময়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে কারো পক্ষে দেশের পানি রক্ষায় অবদান রাখা যায় কিনা, তাও তো এক মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হয়েই বিরাজমান! তাও আবার প্রতিমন্ত্রীর স্টাটাসে।
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪। শিরোনাম ‘পানি সমস্যায় বাংলাদেশ