Home লাইফস্টাইল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণ ও করনীয়

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণ ও করনীয়

দখিনের সময় ডেস্ক:
মস্তিষ্কের ধমনীর একটি বেলুনিং বা ফুলে যাওয়া, যা মস্তিষ্ক ও মাথার খুলির মধ্যবর্তী স্থানে ফেটে রক্তপাত। হঠাৎ এ অবস্থা হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। সাবএরাকনয়েড হেমোরেজের লক্ষণে অ্যাম্বুলেন্স কল করে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া ভালো।
সাবএরাকনয়েড হেমোরেজ হলো এক ধরনের রক্তক্ষরণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথায় আঘাতের কারণে এ সমস্যা হয়। মাথার ট্রমা ছাড়া রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগ সাধারণত মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমের কারণে হয়। লক্ষণ : অবস্থা প্রকট হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। হঠাৎ গুরুতর মাথাব্যথা এ রোগের গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ। কখনো কখনো মানুষ রক্তক্ষরণের আগে মাথার মধ্যে একটি হালকা ব্যথা অনুভব করেন। রোগটির আরও উপসর্গ হলো:-
ঘাড়ব্যথা : সারা শরীরে অসাড়তা অনুভব, কাঁধে ব্যথা, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, খিঁচুনি ও বিভ্রান্তি হওয়া, বিরক্তি বোধ ইত্যাদি। তবে সাবএয়াকনয়েড হেমোরেজের লক্ষণগুলো হঠাৎ দেখা দেয় এবং রোগী দ্রুত জ্ঞান হারাতে পারেন।
যাদের বেশি হয় : যে কোনো বয়সীর হতে পারে। ধূমপান ও উচ্চ রক্তচাপ অ্যানিউরিজমের ঝুঁকি বাড়ায়। অবৈধ বিনোদনমূলক ওষুধ ব্যবহার শুধু অ্যানিউরিজম নয়, সাবএরাকনয়েড রক্তক্ষরণেও ব্যাপক অবদান রাখতে পারে।
ঝুঁকির কারণ : সাবএরাকনয়েড হেমোরেজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা মাথায় আঘাতের কারণে ঘটতে পারে। যদি স্বতঃস্ফূর্ত হয়, তবে এটি মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা মস্তিষ্কের ধমনির মধ্যে অস্বাভাবিকতা। যখন একটি অ্যানিউরিজম বিস্ফোরিত হয়, তখন দ্রুত রক্তপাত হয়, জমাট রক্ত তৈরি করে। এটি নারীদের মধ্যে যারা উচ্চ রক্তচাপযুক্ত এবং যেসব নারী-পুরুষ ধূমপান করেন, তাদের বেশি হয়। কখনো কখনো মস্তিষ্কে আঘাত প্রাপ্তের কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। ফলে সাবএয়াকনয়েড হেমোরেজ হতে পারে। রক্ত পাতলা করার যন্ত্রের ব্যবহার বা ধমনির বিকৃতি থেকে রক্তপাতে সাবারাকনোয়েড হতে পারে।
চিকিৎসা : একটি ট্রান্সক্র্যানিয়াল আলট্রাসাউন্ড, যা ডাক্তারকে মস্তিষ্কের ধমনিতে রক্তপ্রবাহ শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। ঈঞ, গজ, এনজিওগ্রাফি, ঈবৎবনৎধষ অহমরড়মৎধস-এর প্রয়োজন হয়। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ শনাক্তের জন্য এক্স-রে ও ইনজেকশনযুক্ত রঞ্জক ব্যবহার করা হয়। রোগীর জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্ষতির আশঙ্কা ও মাত্রা কমাতে প্রাথমিক চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ। রক্তপাতের কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যেহেতু একই অ্যানিউরিজম থেকে নতুন রক্তপাত প্রায়ই চিকিৎসা ছাড়াই ঘটতে পারে। কিপ করার জন্য বা অ্যানিউরিজম বন্ধ করতে এবং ভবিষ্যতে রক্তপাত বন্ধ করতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অপারেশন মাথার খুলি কেটে করা হয়। তা ছাড়া এনিউরিজম কয়েলিং করা যেতে পারে। এছাড়াও কিছু ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ : এ রোগ থেকে দূরে থাকতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন। খিঁচুনি প্রতিরোধ করুন। তীব্র মাথাব্যথা উপশম করুন। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার পরও জটিল ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments