দখিনের সময় ডেস্ক:
ঋণ খেলাপী হিসেবে আসন্ন পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই আবুল কালাম আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে চিঠি দিয়েছে পদ্মা ব্যাংক। পদ্মা ব্যাংক পটুয়াখালী শাখার অফিসার মেহেদী হোসাইন এবং সিনিয়র অফিসার ও শাখা অপারেশন ম্যানেজার শাহিনুর আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ কথা জানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মেয়র পদে নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলায় যেসব প্রার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ মেয়র পদপ্রার্থী। এ ছাড়া মেয়র মহিউদ্দিিনের স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
পদ্মা ব্যাংকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল কালাম আজাদ, প্রোপাইটর মেসার্স আবুল কালাম আজাদ, আমাদের পদ্মা ব্যাংক পিএলসি (তৎকালীন দি ফার্মার্স ব্যাংক লিমিটেড), পটুয়াখালী শাখার একজন খেলাপি গ্রাহক। যিনি ২৮.১০.২০১৪ তারিখে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, পটুয়াখালী শাখা থেকে সর্বমোট ২৪.৫০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন যা ১৬.১০.২০২২ ইং তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। ঋণের হিসাবটি নিয়মিত না করায় বিগত ০১.০২.২০২৪ ইং হতে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত হয়ে যায় এবং উক্ত ঋণ হিসাবে মহিউদ্দিন আহম্মেদ একজন জামিনদার।
মহিউদ্দিন আহমেদ ঋণ গ্রহণের সময় ব্যাংক বরাবর এই মর্মে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, আবুল কালাম আজাদ উক্ত ঋণ প্রদানে ব্যর্থ হলে আমি জামিনদার হিসেবে ঋণের সমুদয় টাকা প্রদান করবো। কিন্তু খেলাপি ঋণ আদায়ের গ্রাহক ও জামিনদারের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং জামিনদার মহিউদ্দিন আহম্মেদ প্রার্থী হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
এদিকে পদ্মা ব্যাংক ঋণের টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিস্তি বাকি আছে কিন্তু তারা ঋণ খেলাপি নয়। আর মহিউদ্দিন তো জামিনদার। পদ্মা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ফয়সাল আমীন বলেন, আমরা চিঠি দিয়েছি। সব ঠিকই আছে। উনি ওনার ঋণটা পরিশোধ করলেইতো শেষ হয়ে যাবে।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা একটি ব্যবসায়িক পরিবার। আমার বড় ভাই এই শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সারাদেশে তার ব্যবসা রয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার লেনদেন রয়েছে। আমি জামিনদার হিসেবে আছি, তবে আমরা কেউই ঋণ খেলাপি না। এ বিষয় নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ ইভিএম এর মাধ্যমে পটুয়াখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই। এছাড়া আপিল নিস্পত্তি ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি এবং আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ। ভোট গ্রহণ ৯ মার্চ।