দখিনের সময় ডেস্ক:
বরগুনা সদরের পূর্ব হাজার বিঘা বটতলা সিনিয়র মাদরাসা এমপিওভুক্ত হলেও কয়েকজন শিক্ষকের বিল আটকা ছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল মো. আব্দুস সালাম অনেক চেষ্টা তদবির করছিলেন শিক্ষকদের বিল করানোর জন্য। তদবিরের খবরে নিজে থেকে যোগাযোগ করেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও প্রোগ্রাম অফিসার পরিচয়ে দেওয়া দুজন।
কয়েক দফায় ২০২১ সালে মোট ১৪ লাখ টাকা নিলেও বিল হয়নি। পরবর্তীতে যোগাযোগ না করে বদলে ফেলেন সিমও। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার পর সন্দেহ হলে খোঁজ-খবর নেন প্রিন্সিপাল আব্দুস সালাম। জানতে পারেন জুবায়ের বা আসাদুজ্জামান মানিক এবং আব্দুল গফফার বা সুমন চৌধুরী নামে কেউ নেই মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওস্থ পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর আলম। শুধু প্রিন্সিপাল আব্দুস সালাম-ই নন, সারাদেশে এমন অন্তত দুই ডজন শিক্ষককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। কেউই টাকা ফেরত পাননি। প্রতারণার শিকারদের একজন বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছিল পিবিআই।
তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রতারিতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জুবায়ের ওরফে মো. আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমানকে (৪৭) গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ২টায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার ফলগাছা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সহযোগী আব্দুল গফফার ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে সাইফুলকে (৭৭) রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) একটি দল।
পিবিআই বলছে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভুয়া উপ-সচিব, প্রোগ্রাম অফিসার কখনো সিস্টেম এনালিস্টের পরিচয়ে মাদরাসার শিক্ষকদের টার্গেট করে তারা। এরপর এমপিওভুক্তি ও নব নিয়োগপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ানদের বেতন ভাতাদি নিয়মিত করে দেওয়ার আশ্বাসে চার কোটির বেশি ঢাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছে।