দখিনের সময় ডেক্স:
ঈদের বাজারে মানুষের ভীড়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে গণপরিবহন। রাস্তায় জটলা। চায়ের দোকানে আড্ডা। কারও কারও মুখে মাস্ক আছে, বেশিরভাগ মানুষের নেই। যাদের আছে তাদের বেশির ভাগই শোভাপায় থুতনিতে। দেথে মনে হয়, দেশে করোনা মহামারি বলে কিছু নেই। করোনা মহামারীতে চলছে মৃত্যুর মিছিল। কিন্তু মানুষ কি কারনেই যেনো বে পরোয়া।ভাবখানা এই, কিসের স্বাস্থ্য বিধি কিসের কি!
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু এই লকডাউনের ‘লক’ খুলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। আন্তজেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ ছাড়া আর সবই চলছে আগের মতোই।
আগের মতোই ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠছেন যাত্রীরা। যাত্রী ওঠানোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের বালাই নেই। বাসে সিট খালি রাখা হচ্ছে না। দাঁড়িয়েও যাচ্ছেন লোকজন। মানুষ কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ঈদের কেনাকাটায় ভিড় করছেন রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে। অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। ঈদের বাজার করতে আসা অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। আবার কেউ মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে থুতনিতে লাগিয়ে রেখেছেন। কেনাকাটা করতে অনেকে নারী-শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিড় করছেন মার্কেটে। দোকানগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। অনেকটা ঠেলাঠেলি করে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। রাস্তাগুলোয়ও তীব্র যানজট।
যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। কিন্তু তাতে কী? মালবাহী ট্রেনে যাচ্ছে যাত্রী।জরুরি মালামাল পরিবহনে রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে কিছু পার্সেল ট্রেন চালু রয়েছে। মালামাল ছাড়া এসব ট্রেনে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ থাকলেও বর্তমানে সব পার্সেল ট্রেনে অবাধে যাত্রী বহন করছেন রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মচারী।