দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) এর আয়োজনে অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে “ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার ২১ শে ফেব্রুয়ারি সাড়ে ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ জননী সাহান আর বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, বিপিএম-সেবা, পিপিএম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল বলেন, ভাষা আন্দোলনসহ প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বরিশালের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। আর এদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল বরিশালের নারী সমাজ। এসময় পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের সন্তানদের কিভাবে গড়ে তুলবো সেটা আমাদেরই ভাবতে হবে। মাতৃভাষা ও দেশকে ভালবাসার বিষয়ে তাদের প্রলুব্ধ করতে হবে। মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি তিনটি শব্দের শুরুই মা দিয়েই। আমরা মাকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি, সন্মান করি। আমি যেখানে জন্ম নিয়েছি সেই দেশটাকে আমার ভালোবাসতে হবে, সন্মান করতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে। সেইসাথে যে ভাষায় আমি কথা বলছি তাকেও একইভাবে ভালোবেসে সন্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। এ সময় পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের বাটি-প্লেট না দিয়ে উপহার হিসেবে বই দেয়ার আবহান জানান। আর এ কাজে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সংবাদকর্মীদের জোড়ালো ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
বিআরইউর সভাপতি নজরুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় পরিষদের সদস্য সৈয়দ দুলাল,ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি বরিশাল জেলার সভাপতি কাজল ঘোষ। বিআরইউর সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী মজুমদারের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিথুন সাহা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপন। আলোচনা সভা শেষে কবি অরুপ তারুকদার ও তপংকর চক্রবর্তীকে সংর্বধনা স্মারক দেয়া হয়। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহন করেছিল। প্রথমদিন সোমবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) ভাষা সৈনিকদের মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈ। দ্বিতীয়দিন মঙ্গলবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ও “ভাষা আন্দোলনে বরিশাল” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল মারুফ।