দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে না জেনেও কেউ কেউ পুরনো ধারায় মনোনয়নবাণিজ্য করে ফেলেছেন বলে জনশ্রুত আছে। কিন্তু এই বাণিজ্য ক্লাইমেক্সে পৌঁছানোর আগেই নানান বাস্তবতার আলোকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রকারান্তরে ইঙ্গিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন। দলীয় মনোনয়নের বাইরে নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে খোলাসা করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আখ্যায়িত করেছেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার ুহিসেবে।’
কে কাকে প্রশ্ন করবে, যেখানে ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে বিদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করে দল থেকে সোজা বহিষ্কার, সেখানে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের বাইরে র্প্রার্থী হলে তা ‘গণতান্ত্রিক অধিকার’ হয় কীভাবে? অবশ্য রাজনীতিতে সব সময় সবকিছু প্রশ্নের আওতায় থাকে না। এ ছাড়া কার প্রশ্নে তোয়াক্কা কে করে। অবশ্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অন্যরকম বাস্তবতা ছিল।
বিএনপি অংশ না নেওয়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামরিক সরকারের আমলের ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের পর্যায়ে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এজন্য প্রথমে হেন দল তেন দলের সাইনবোর্ড নিয়ে কিছু লোক মাঠে নামানো হয়। কিন্তু তারা হালে পানি পাচ্ছিলেন না। ফলে এদের ব্যয় বহন থেকে সরকার দ্রুত সরে যায়। রাজনীতির আগাছাকে বৃক্ষে পরিণত করার প্রকল্প ত্যাগ করে নির্বাচনে ট্রাম্পকার্ড খেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়নের বাইরে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এ ধারায় দলের অভ্যন্তরে মহিরুহ ভাবের কিছু আগাছা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি প্রধানত চারটি ফল পাওয়া গেছে। এক. ক্লাইমেক্সে ওঠার আগেই মনোনয়নবাণিজ্য ভূপাতিত হওয়া। দুই. ভোটের আলোচনা সারা দেশে পৌঁছে যাওয়া। তিন. কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। তবে তা ৪১ শতাংশ কি না তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় আছে। চার. একবার এমপি হলেই পগারপার- এই প্রবণতার নেতাদের উচিত শিক্ষা হওয়া। ফলে
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত, ১৬ ফেব্রুযারি ২০২৪।শিরোনাম, “অতি প্রত্যাশার স্বতন্ত্র এমপি এবং বাস্তবতা”