দখিনের সময় ডেস্ক:
বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। দগ্ধ হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চুলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটিতে থাকা রেস্টুরেন্টগুলোতে থাকা সিলিন্ডারের কারণে আগুন ছড়িয়ে গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর করা সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। এর মধ্যে চারজন শিশু ও ২১ জন নারী। বাকি সবাই পুরুষ।
গুরুতর আহতদের মধ্যে ২০ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। বাকিদের মধ্যে অধিকাংশকেই ঢামেক হাসপাতালে। এ ছাড়া আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালেও কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে। বেইলি রোডের বহুতল ভবনটির সামনে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছেন। আটকে পড়া স্বজনদের খোজে এসেছেন অনেকে। হতাহতদের সবাই শ্বাসরো্ধ হয়ে মারা গেছে। ভবনটিতে সরু সিড়ি থাকায় উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। না হলে আশপাশের ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ছয়তলা ভবনটিতে থাকা সিড়ি ছিল সরু। শুধু তাই নয়, এমনকি সিড়িতেও রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। ফলে সিড়ি দিয়ে আটকে পড়াদের বেরিয়ে আসাটা কঠিন ছিল। ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভবনটি তৈরিতে অনিয়ম ছিল কিনা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা, এসব তদন্তে রমনা থানায় একটি মামলা করা হবে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডে একটি রেস্টুরেন্টে বৃহস্পতিবার রাত টার দিকে আগুন লাগে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেন। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়। কিন্তু আশপাশের কয়েকটি দোকনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩টি করা হয়। উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয় আনসার সদস্যদের। সর্বশেষ বিজিবি সদস্যরাও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনটিতে আটকে পড়াদের মধ্যে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনো ভবনটিতে অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে।