দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রায়ই দেখা যায়, একজনের পাপে অন্যে ভোগে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে খেজুরের দাম বেধেদেবার জন্য ইস্যুকরা এক চিঠিকে কেন্দ্র করে। এ ভুলে ক্ষমা চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু । কিন্তু এই ভুলের জন্য দায়ী কে?
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে শব্দ প্রয়োগ কেলেংকারি ঘটেছে। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, উল্লেখিত চিঠি তৈরী করেছে কে? নিশ্চয়ই প্রতিমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী করেননি। আমলাদের কেউ এই চিঠি তৈরি করেছেন। এরপর সচিবসহ অমলাদের কয়েক টেবিল ঘুরে মন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, যেসব মন্ত্রনালয় প্রতিমন্ত্রী পরিচালনা করেন সেসব মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এ ছাড়া চলমান বাস্তবতায় বাণিজ্যমন্ত্রণালয় অধিকতর গুরুত্ব বহন করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো সংবেদনশীল মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে এতোবড় ‘কাঁচা ভুল’ কীভাবে হয়? এ বিষয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আহসানুল ইসলাম টিটুর বিচক্ষণতারই পরিচয় বহন করে। তিনি পরিস্থিতি সফলভাবে সামাল দিয়েছেন। এখন প্রয়োজন হচ্ছে, যেই আমলারা এই চিঠি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে অন্য আমলারা সাবধান হয়।
উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ লেখার প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে। এ সময় ভুলের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাড়াহুড়োয় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।