দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশ্বে মাছ উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলোর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের দাবি অনুযায়ী, দেশটি মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর মাছ উৎপাদন হয় ৪৯ লাখ মেট্রিক টন। যা চাহিদার চেয়ে বেশি। প্রতিবছর কিছু মাছ বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এপরও বিভিন্ন ধরনের মাছ আমদানি আমদানী করা হচ্ছে বিরেদশ থেকে। অর্ধেকের বেশি আসে ভারত থেকে। ভারতীয় মাছের বাজার দ্রুত বাড়ছে। খবর সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ভারত থেকে রুই, কাতল, কালি বাউস, বোয়াল, আইড়সহ আসে কাঁচকি মাছও! সামুদ্রিক মাছও আসছে । ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও কিছু মাছ আসে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয় মূলত সামুদ্রিক মাছ। ভারতীয় রুই, কাতল, কালি বাউস, বোয়াল, আইড়সহ আকারে বেশ বড়। একেকটি মাছের ওজন হবে ১০ থেকে ১৫ কেজি। এগুরেঅ পলিথিনে মোগানো থাকে। ভারতের হায়দরাবাদ, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছগুলো আনা হয়। ভারতের হাওর এবং বড় জলাশয়ের চাষের মাছ এগুলো। বাংলাদেশের মাছ এতো বড় হয় না। দুই থেকে তিন/চার কেজি। কিন্তু ভারতের মাছ দশ কেজি থেকে ১৫/১৬ কেজি সহজেই পাওয়া যায়। বেনাপোল বন্দর দিয়ে এসব মাছ আমদানি করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর অন্যতম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেবে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এরমধ্যে ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ শীর্ষে, মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয়। একইভাবে বদ্ধ জলাশয়ের মাছেও দেশটির অবস্থান তৃতীয়। আর সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ২৫তম।