সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যার কাছে কাজ তার কাছেই পাবলিক ধরা। আতালের মুরগিসম! তবে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল!’ এ ধারা আগেও ছিল। এখন প্রকটভাবে প্রাসঙ্গিক এ প্রবচন। ভাবলে একটু হলেও তো অবাক হতে হয়, একটি রেস্তোরাঁ খুলতে এক ডজনের বেশি সরকারি দফতরে ধরনা দিতে হয় এবং সরকারি ১৩ সংস্থার লোকদের সমানে বাণিজ্যের অরাজকতা চলে। আর প্রয়োজনীয় কাজটি শিকেয় তোলা থাকে।
আর ঘটনা ঘটলেই তা আড়াল করার কৌশল হিসেবে অন্য রকম দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। বেইলি রোডের রেস্তোরাঁয় আগুনের ঘটনা এবং ৪৬ জন পুড়ে অঙ্গার না হলে কি এ বিষয়টি সামনে আসত? উত্তর নেতিবাচক। আর ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ১৪ তলা ভবনের ১৩ রেস্তোরাঁকেন্দ্রিক গৃহীত ব্যবস্থা থেকে কি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়নি, কাদের দিয়ে চলছে প্রশাসন ও সরকার! বেইলি রোডের রেস্তোরাঁর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারি সংস্থাগুলোর দৈন্যতা, অসততা এবং অভ্যন্তরীণ ঘায়ের ছবিকেও ছাড়িয়ে গেছে ধানমন্ডির এক ভবনে বিরাজমান ১৩ রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠা এবং বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা।
যেভাবে রেস্তোরাঁর ভিতরে ভাঙচুর করা হয়েছে তাতে অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সরকার এবং মাস্তানের মধ্যে পার্থক্য কতটা? আর দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের উচ্চারণ ও বডি ল্যাংগুয়েজ তো এক কথায় বলতে হয়, ‘মাশা আল্লাহ!’ আর রেস্তোরাঁ ব্যবসা নাশের ধারা এখনতক পুরো রাজধানীতেই সম্প্রসারিত হয়েছে। যেন উল্লুক ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত, ২১ মার্চ ২০২৪, শিরোনাম “আগুন রহস্য : যেসব প্রশ্ন জনমনে