অনেকেই বলেন, এভাবে তো একটি দেশ চলতে পারে না! এর অবসান হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ সরকারি অর্গানগুলোর দিকে। এগুলোতে ফ্রিস্টাইল দুর্নীতির চলছে বলে ঢালাও অভিযোগ রয়েছে। এর অবসান সময়ের দাবি। যেমন অবসান হয়েছে, শক্তি প্রয়োগের বিরোধিতার রাজনীতির ধারা। এক সময় স্বীকৃত বিষয় ছিল বিরোধী দল মানেই যা কিছু করার অধিকারী। তা হোক রাস্তা বন্ধ অথবা মানুষ হত্যা। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করলেও বিরোধী দল পার পেয়েছে। অতীতে প্রচলিত ধারণা ছিল বিরোধী দল মানুষের গলা কাটলে তা ‘বিপ্লব’। আর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সরকার কারও হাঁটুতে বাড়ি দিলে তা নির্যাতন।
বলাবাহুল্য, সেই দিনগুলোতে সরকার দুর্বল ছিল। আর সরকারের দুর্বলতাই হচ্ছে বিরোধী দলের বাহাদুরির উৎস। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই অবস্থা বদলে গেছে। এখন সরকার সবল। সরকারের ক্ষমতা ক্রম বর্ধমান। ক্ষমতা বৃদ্ধির এ ধারাকে সরকারি অর্গানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। যেমন করেছিলেন বরিশাল সিটির মেয়র থাকাকালে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বিসিসির মতো দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত একটি সংস্থাকে শুদ্ধ ধারায় এনে সাদিক আবদুল্লাহ প্রমান করেগেছেন, চাইলে অনেক কিছুই সম্ভবব।
এরকম উদাহরণ আরও বেশ কিছু আছে। কিন্তু এগুলো ব্যতিক্রম। মূল প্রবণতায় সরকারের অর্গানগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত। এ নগ্ন বাস্তবতা রেস্তোরাঁ কেন্দ্রিক ঘটনাবলী থেকে বেশ স্পষ্ট হয়েছে। কে জানে, এ দিগম্বর দশা আড়াল করার জন্যই রেস্তোরাঁকেন্দ্রিক তৎপরতা চালানো হয়েছে কি না। আসলে একটি সভ্য দুনিয়ায় এ ধরনের কার্যক্রম চলতে পারে না। বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, বিকাশমান দেশের রেস্তোরাঁ খাতে ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত এবং এদের ৯৫ ভাগ কর্মী অদক্ষ। এ খাত অন্য পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার খেলা চলছে কি না তাও কিন্তু ভাবনার বিষয়।
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত, ২১ মার্চ ২০২৪, শিরোনাম “আগুন রহস্য : যেসব প্রশ্ন জনমনে